পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
স্থানটি প্রায় ৮০ একর ভূমিজুড়ে বিস্তৃত। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যোগী ও সাধু সন্ন্যাসীদের আনাগোনা ছিল বলে এ স্থানটির নামকরণ ‘যোগীর ভবন’ হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
এখানে রয়েছে একটি আশ্রম, চারটি মন্দির, কানচ কূপ, একটি ইদারা, ধর্মটুঙ্গি ও অগ্নিকুণ্ড ঘর। সমগ্র বসতিস্থল বা ভবনসমূহের এলাকা প্রাচীর বেষ্টিত এবং একটি বিভাজক দেয়াল দ্বারা দুভাগে বিভক্ত। পশ্চিমভাগে ধর্মটুঙ্গি ও গদিঘর নামক দুটি মন্দির রয়েছে। পূর্ব ভাগে রয়েছে সর্বমঙ্গলা, দুর্গা, কালভৈরবী ও গোরক্ষনাথসহ ৪টি মন্দির।
স্থাপত্যশৈলী ও লিপি প্রমাণে অনুমান করা হয়, যোগীর ভবনস্থ মন্দিরগুলো সতেরো-আঠারো শতকে নির্মিত হয়েছিল। প্রাচীন ভবনাদির ধ্বংসাবশেষ এসব মন্দিরের নির্মাণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে, কিংবদন্তির বেহুলার মৃত স্বামী লক্ষ্মীন্দর এখানকার কানচ কূপের পানির মাধ্যমে জীবন ফিরে পেয়েছিলেন।