পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
তাড়াশ ভূমি অফিসের দ্বিতীয় তলায় প্রতিষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এ জাদুঘরটি গত ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এরপর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। অফিস সময় ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য জাদুঘরটি উন্মুক্ত রাখা হয়।
উদ্বোধনকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ভূমি জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার ফলে এখানকার মানুষ ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে এ জাদুঘরে বিভিন্ন নিদর্শন সংরক্ষণ করা হবে। তাড়াশ ভূমি জাদুঘর ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ঠাঁই পেয়েছে ভূমির প্রাচীন ইতিহাস, সিএস,এসএ ও আরএস রেকর্ডের ইতিহাস, প্রজাস্বত্ত আইন, বিভিন্ন ধর্মের উত্তরাধিকার আইন, বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমি সেবা পাওয়ার তথ্যাদি ।
এছাড়াও প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে চেইন, গুনিয়া, কম্পাস, ট্রেসিং পেপার ও টেবিল, সিন্ধুক, পুরাতন দলিল, পুরাতন নকশা ও পাট্টা চেক নমুনা, নিলাম, ইশতেহার, ৭ ধারা, ৪৬ ধারাসহ চেক, নিলামের বায়নামা নমুনা, পুরাতন মিসকেসের আদেশের নমুনা, ভিপি সেন্সাস তালিকা, খতিয়ান ফরম , মাঠ পরচা , সিএস মাঠ পরচা ও এস এ মাঠ পরচা নমুনা, মহালের প্রস্তাব, পাশ বহি, ক্যাশ বহি ও সার্টিফিকেট রেজিস্টার নমুনা, পূর্বে কাচারিতে ব্যবহৃত কম্পাস, টাইপ মেশিন ইত্যাদি।
ভূমি সংক্রান্ত অনেক বই, নামজারি, ভূমিহীন বন্দোবস্ত, একসনা নবায়ন ও লিজ, ভিপি লিজ, ভূমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ধাপসমূহ জাদুঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসা বেশির ভাগ মানুষই ভূমির ইতিহাস জানেন না। তাদেরকে আকৃষ্ট করতে ও অবসর সময়ে তারা যেন ঘুরে দেখে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে পারেন, এ ধারণা থেকে এ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার চিন্তা মাথায় আসে। এ থেকে তাড়াশবাসী সামান্যতম উপকৃত হলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে।