পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
তাজউদ্দিন আহমদ চত্বর থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কনকনে শীত উপেক্ষা করে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গাজীপুরে রাত্রিযাপন করে পরদিন সকালে সার্কিট হাউস থেকে রাজধানী ঢাকার জিরো পয়েন্টে পৌঁছান খলিল। জিরো পয়েন্ট থেকে প্রথমে যান মানিকগঞ্জ। সেখান থেকে টাঙ্গাইল হয়ে জামালপুর। এভাবেই ইতিমধ্যে তিনি ২৬টি জেলা সাইক্লিং করে ঘুরে ফেলেছেন।
‘শিক্ষা, ক্রীড়া এবং সেবা দিয়ে গড়ে তুলব আমাদের সমাজ’ এই শ্লোগানে এগিয়ে চলা কাপাসিয়ার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন” তার এ ভ্রমণে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। খলিল গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে। গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
এ বিষয়ে খলিল হোসেন বলেন, চিন্তাটা প্রথমে মাথায় আসে সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন দেখি অনেক মানুষ দেশ- বিদেশে ভ্রমণ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আমিও না হয় সাইকেল চালিয়ে পুরো দেশ ঘুরলাম। সেই চিন্তা থেকেই বেরিয়ে পড়া। সাইক্লিং আমার ভীষণ পছন্দের। দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে দেখা এবং উপভোগ করা যায়। ৬৪ জেলায় সাইক্লিং করে ঘুরে আসতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৪৫-৫০ দিন।
তিনি বলেন, মূলত ৬৪ জেলা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে হল পুরো বাংলাদেশকে একবার ঘুরে দেখা। প্রতিটি জেলা এবং সেখানকার মানুষের সংস্পর্শে যাওয়া। এছাড়াও নিজ জেলা ছাড়া বাকিসব জেলা ঘুরে দেখা।
এবারের যাত্রা ৪৫-৫০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের দেশটাকে ঘুরে দেখা ইচ্ছা এবং তরুণ প্রজন্মকে জানাতে চাই, নিজের দেশের নাগরিক হয়ে একবার হলেও দেশটিকে ঘুরে দেখা দরকার। হোক সাইকেল চালিয়ে বা গাড়িতে করে না হয় পায়ে হেঁটে।