রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টার মধ্যেই শুরু হয়েছিল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর। তবে প্রথম দিকে তেমন একটা সাড়া পাওয়া না গেলেও মেলার দ্বিতীয় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। স্টলে-স্টলে চলছে হরেক রকমের অফার। কর্মীরা হাঁক-ডাকে তুলে ধরছেন নিজেদের পণ্যের কথা। বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে গৃহস্থালি জিনিসপত্র, শীতের পোশাক, কাপড় ও খাবারের দোকানগুলোতে। তবে তুলনামূলক কম ভিড় রয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্রের স্টল-প্যাভিলিয়নে।
এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫১টিই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের স্টল-প্যাভিলিয়ন। বাকি ১১টি স্টল ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া—এই ৭ দেশের।
মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের কার্ড দেখিয়ে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করা যাবে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।