■ পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
বরিশালের মন্ত্রগুরু স্বামী রামানন্দ যজ্ঞেশ্বরের কণ্ঠে হরিসংকীর্তন ও শ্যামাসংগীত শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে দীক্ষা দান করেন এবং নাম রাখেন মুকুন্দ দাস। উনিশ বছর বয়সের মধ্যে মুকুন্দ দাস সাধন সংগীত নামে একশত গান সমৃদ্ধ একটি বই রচনা করেন। মুকুন্দ দাস স্বদেশী ও অসহযোগ আন্দোলনের সময় বিপ্লবাত্মক গান ও যাত্রাপালা রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
ক্ষুদিরামের ফাঁসি উপলক্ষে রচিত তার গানের কলি ‘হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে জগতবাসী, একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ লোকমুখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। কবি মুকুন্দ দাসের স্মরণে বরিশাল শহরের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তার বসতভিটায় নির্মিত হয়েছে একটি কালী মন্দির যার সম্মুখে রয়েছে কবির ছবি। এই কবি ১৯৩৪ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।