ভূস্বর্গ কাশ্মীরের বাসিন্দা মোস্তাক হোসাইন আখন। পেশায় তিনি শিকারাচালক। স্থানীয় লোকেরা তাকে ‘কাওয়াহ ম্যান’ নামেই চেনেন। কারণ লেকের পানিতে শিকারা চড়ার সঙ্গে অতিথিদের ১৬ রকম ‘কাওয়াহ চা’ আপ্যায়ন করান। গত ৯ বছর ধরে ডাল লেকের পানিতে ভেসে থাকা স্থানীয় সব্জি বিক্রেতা থেকে শুরু করে পর্যটক সকলকেই এই চা দিয়ে থাকেন তিনি।
কাশ্মীরি কাওয়াহ চা কাশ্মীরের উপত্যকার ভালোবাসা ও আতিথেয়তার প্রতীক। বিশেষ এই চা খাওয়ার আনন্দই আলাদা। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ এই চায়ের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের স্বাস্থ্য, হার্ট, হজমের সমস্যা দূর করতে পারে এই চা। এ ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর কাওয়াহ শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
কাশ্মীরের এই বিশেষ চা তৈরি করতে ১৬টি উপাদান ব্যবহার করেন মোস্তাক। চায়ের মধ্যে কাঠবাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম, খেজুর, গোলাপ ফুলের পাপড়ি, মধু, জাফরান, ছোট এলাচ, দারচিনি, আদার মতো উপাদান দিয়ে তৈরি হয় কাশ্মীরি কাওয়াহ।
মোস্তাকের ভাষ্য, কাশ্মীর ঘুরতে আসা পর্যটকরা যখন থার শিকারায় চড়ে ডাল লেকে ঘুরতেন, তখন তিনি তাদের এই চা পরিবেশন করতেন। তার শিকারায় উঠে এক কাপ কাওয়াহ খেতে গেলে খরচ করতে হবে ৫০ টাকা।
২০১৪ সাল থেকে এই বিশেষ চায়ে নিজের দক্ষতার ছাপ রেখে চলেছেন মোস্তাক। বর্তমানে তার কাছে প্রায় ১৬ রকম কাশ্মীরি কাওয়াহ চা পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার শিকারায় উঠলে পর্যটকরা কিনতে পারবেন সেখানকার বিখ্যাত সব সুগন্ধি মশলা।