ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান গতকাল ২১শে ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭১ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।পাঁচ বছর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান। ড. হাসান ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস সায়েন্স, এথেন্স, গ্রিস থেকে পর্যটন বিপণনে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। তিনি ভারতের হরিয়ানার ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রায় ৪৫টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রকাশনা রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর গবেষণা প্রতিবেদন, পরামর্শ প্রতিবেদন, গবেষণাপত্র, কনফারেন্স পেপার, গবেষণা মনোগ্রাফ এবং পাঠ্য বই ইত্যাদি।
সৈয়দ রাশিদুল হাসানের মৃত্যুতে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগ এবং ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একজন খ্যাতিমান শিক্ষক ও গবেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সদালাপী ও বিনয়ী চরিত্রের গুণী এই অধ্যাপক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন।
উপাচার্য প্রয়াত অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি পর্যটন শিল্পের একজন অন্যতম চিন্তক ছিলেন। দেশ ও বিদেশের সরকারি, বেসরকারি, আন্তর্জাতিক ও নানা ব্যবসায়ীক সংস্থায় পরামর্শক হিসাবেও দীর্ঘ দিন অবদান রেখেছেন। রাশিদুল হাসানের মৃত্যুতে পর্যটন তার মৃত্যুতে পর্যটন শিল্পের ব্যবসায়ীক পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি ট্যুরিজম এন্ড হস্পিটালিটি ইন্ডাস্ট্রী স্কিলস কাউন্সিল, বাংলাদেশের উপদেস্টা ছিলেন। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল তার এই পরম শ্রোদ্ধেয় শিক্ষকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও সকলের প্রতি আল্লাহর দরবারে তার জন্য দোয়ার আবেদন করেন।
রশিদুল হাসান মৃত্যুকালে তার এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ আছর তার নামাজে জানাজা শেষে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হয়।(নিউজ ডেক্স, পর্যটন বিচিত্রা)