হতাশার কারণে আত্মহত্যা করতে চাওয়া কাজী আসমা আজমেরী ভ্রমণ করেছেন পৃথিবীর নানা দেশে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ করে তাক লাগিয়েছেন সবাইকে।
২০০৭ সাল। জন্মভূমির বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডে যান কাজী আসমা আজমেরী। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গিয়েছিলেন একাই। বিশ্বভ্রমণের ইচ্ছাটা তখনও চেপে বসেনি মাথায়।
দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০০৯ সালে আবার দেশের বাইরে যান আজমেরী। সে বছর তার গন্তব্য ছিল হিমালয়কন্যা নেপাল। সেই থেকে বিশ্বভ্রমণের নেশা পেয়ে বসে তাকে। এই তরুণী এখন (১৯ নভেম্বর) জর্ডানে অবস্থান করছেন।
ভ্রমণপিয়াসু কাজী আসমা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি খুব দুরন্ত ছিলাম। ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা ছিল প্রবল। সেই আকাঙ্ক্ষা থেকেই বিশ্ব ঘুরে দেখার ইচ্ছা জাগে। প্রথমে গিয়েছিলাম থাইল্যান্ড। নীল সমুদ্র দেখার পর মনে হয়েছিল, ভ্রমণের জন্য যত টাকা খরচ হয়েছে; এই সমুদ্র দেখার পর সব উঠে গেছে। এর পর নেপাল যাই। হিমালয় দেখার পর পুরো বিশ্বের সৌন্দর্য আমাকে টানতে থাকে। তখন থেকে পৃথিবীর নানা দেশে যাওয়ার ভিসা সংগ্রহের লক্ষ্যে নামি।’
পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতেন আসমা। এতে যে টাকা জমেছে সেই টাকা দিয়েই ভ্রমণ করছেন। ‘পড়াশোনা শেষ হলে এক-দেড় বছর চাকরি করি আর ছয় মাস ভ্রমণ করি’— জানান আসমা।
তার মতে, ভ্রমণ করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন, নিয়মনীতি, নৈতিকতা জানা ও শেখা যায়। নিজের মধ্যে থেকে হিংসা-বিদ্বেষ চলে যায়। যারা ভ্রমণ করেন, তারা উদার মনের হয়। নিজের মধ্যে দক্ষতা তৈরি হয় ভ্রমণের মাধ্যমেই।
যারা হতাশায় ভুগেন ভ্রমণ তাদেরকে এই প্রবণতা থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে মনে করেন আসমা আজমেরী। তিনি বলেন, যারা আত্মহত্যার মতো পথে হাঁটার চিন্তা করেন, তাদের একবার ভ্রমণের পথে হাঁটা উচিত।