পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। এখানে আছে একটি কৃত্রিম লেক। লেকের এপার থেকে ওপারে যেতে পারেন ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে। ইচ্ছে হলে লেকের মধ্যে স্পিটবোড নিয়ে ঘুরতে পারেন।
সাংগু নদী
বান্দরবানে বেড়াতে গেলে সাংগু নদীতে নৌ ভ্রমণ করতে ভুলবেন না। এত স্বচ্ছ পানির নদী এই দেশে খুবই বিরল। এছাড়া এর দুই কিনারে রয়েছে নানান বৈচিত্র্য। শহরের সাংগু সেতুর নিচ থেকে নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়।
বুদ্ধ জাদি
শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে জাদির পাহাড়ে রয়েছে একটি আকর্ষণীয় স্বর্ণ মন্দির। রিকশা বা অন্য কোনো বাহনে চড়ে যেতে পারেন বুদ্ধ জাদি। পাহাড় বেয়ে এখানকার মন্দিরটিতে দেখতে পাবেন বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নানান কার্যক্রম। অত্যন্ত নান্দনিকভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই মন্দির।
চিম্বুক পাহাড়
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চিম্বুক পাহাড়। এই পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় চোখের সামনে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেখা যায় একেবারে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। শহর থেকে চাঁদের গাড়িতে করে এখানে যেতে পারেন।
শৈলপ্রপাত
বান্দরবান শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে রয়েছে শৈলপ্রপাত। চারদিকে পাথর সমেত বিরাট জাগয়াজুড়ে এখানে রয়েছে স্বচ্ছ পানির ঝরনা। ঝরনা দেখে ঢু মেরে আসতে পারেন পাশের ত্রিপুরা পল্লী থেকে।
রুমা বাজার
জেলা শহর থেকে প্রতিদিন চাঁদের গাড়ি ছাড়ে রুমার উদ্দেশে। যেতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। গাড়ি থেকে নেমে রুমা ঘাটে নেমে সেখান থেকে রুমা বাজারে আসতে হবে নৌকায়। রুমা বান্দরবানের একটি থানা শহর। এখানকার চারদিকের প্রকৃতি আপনার হৃদয় ছুয়ে দেবে। এখানে গেলে দেখতে পাবেন বম উপজাতিদের জীবনাচরণ।
বগা লেক
বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচুতে যে লেক তার নামই বগা লেক। বগা লেকে যেতে হবে রুমা বাজার থেকে। বৃষ্টি না থাকলে এখানে যেতে মাঝে মধ্যে জিপ পাওয়া যায়। অন্যথায় একমাত্র উপায় পায়ে হাঁটা। আর হেঁটে গেলে লাগবে প্রায় চার ঘণ্টা। এখানে রাতেও থাকতে পারেন। থাকার জন্য আছে ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের রেস্ট হাউজ। বগা লেক থেকে কেওক্রাডাং খুব বেশি দূরে নয়। প্রস্তুতি থাকলে দেখে আসতে পারেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়াকেও।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান যায় এস আলম, ডলফিন, দেশ ট্রাভেলস, সৌদিয়া, সেন্টমার্টিন পরিবহণ, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলী, ঈগল পরিবহণের এসি/নন এসি বাস। এছাড়া রেল ও বিমানে চট্টগ্রাম এসে সেখান থেকেও সহজে যেতে পারেন বান্দরবান। চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানির বাস
চলাচল করে। অথবা কক্সবাজার হয়ে আসতে পারেন পর্যটকরা। কক্সবাজার-বান্দরবান বাস সার্ভিস রয়েছে। রাঙামাটি-বান্দরবান রুটে সরাসরি বাস সার্ভিস চলাচল করে।
কোথায় থাকবেন জেলা শহরে ও শহরতলিতে অনেক ভালো মানের আবাসিক হোটেল ও অবকাশ যাপন কেন্দ্র রয়েছে। যেমন- মেঘলা পর্যটন মোটেল, হলিডে ইন, হোটেল প্লাজা, হোটেল পূরবী, হোটেল ফোর স্টার, হোটেল হিলবাড, হোটেল গ্রিন হাউজ ও প্রু আবাসিকা। শহরের বাইরে একেবারে প্রকৃতির মাঝে থাকতে চাইলে হিলসাইড রিসোর্ট বা সেনাবাহিনী পরিচালিত নীলগিরি রিসোর্ট উঠতে পারেন।