পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
মাটির প্রাসাদটি ১৯৮৬ সালে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। সমশের আলী মণ্ডল এবং তাহের আলী মণ্ডল প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। তারা আপন দুই সহোদর ভাই। তারা শখের বসে প্রসাদটি তৈরি করেছিলেন। বিভিন্ন গ্রামের প্রায় শতাধিক কারিগরের সমন্বয়ে এই দ্বিতল প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাসাদটি নির্মাণ করতে প্রায় ৯ মাস সময় লেগেছিল। তবে এই প্রাসাদটি সম্পূর্ণ করতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল।
ইট বা সিমেন্টের প্রাসাদ না হবার কারণে প্রসাদের দেয়াল বিশেষভাবে তৈরি করতে হয়েছিল। কারণ মাটির দেয়াল প্রতিবারে এক থেকে দেড় ফুটের বেশি উঁচু করা সম্ভব ছিল না। একবার দেয়াল নির্মাণের পর শুকিয়ে যাবার জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। শুকিয়ে গেলে আবার তার ওপর একই উচ্চতার দেয়াল তৈরি করা হয়েছিল। এভাবে দোতলা বাড়িটির ২০-২২ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছিল। দেয়ালের স্থায়িত্ব বাড়ানো এবং সৌন্দর্য বাড়াতে এতে চুন ও আলকাতরার ব্যবহার করা হয়েছিল।
মাটির প্রাসাদটি প্রায় ২১ বিঘা এলাকা জুড়ে অবস্থিত। প্রাসাদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০০ ফিট ও প্রস্থ প্রায় ১০০ ফিট। প্রাসাদে প্রবেশের জন্য ৭টি দরজা আছে। যেকোনো একটি দিয়ে প্রবেশ করলেই ১০৮টি কক্ষে যাওয়া যাবে। মাটির প্রাসাদটিতে কোন ইট, সিমেন্ট, বালি ও রড ব্যবহার করা হয় নাই।
প্রাসাদে ৯৬টি বড় কক্ষ এবং ১২টি ছোট কক্ষ মিলে মোট ১০৮ টি কক্ষ আছে। প্রতিটি কক্ষে একাধিক দরজা আছে। কোনো কোনো কক্ষে ৪-৫টি দরজা রয়েছে। প্রাসাদের প্রাচীর ২০-৩০ ইঞ্চি চওড়া। মাটি, খড় ও পানি দিয়ে ভিজিয়ে কাদায় পরিণত করে প্রাসাদের প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে।
দোতলায় ওঠার জন্য ১৩টি সিঁড়ি আছে। প্রাসাদের পিছনের দিকের এলাকা থেকে বাড়ি নির্মাণের মাটি সংগ্রহ করা হয়। প্রচুর মাটির নেওয়ার ফলে সেইখানে বিশাল আকারের পুকুর তৈরি হয়েছে। বাড়িটিতে ছাউনি দিবার জন্য প্রায় ২০০ বান্ডেল টিন লেগেছে।