পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
পিতার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া রাজসিংহাসন ছেড়ে সিরিয়ার দামেস্ক এসে শেখ তৌফিকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। পীরের নির্দেশে তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রথমে বাংলার সন্দ্বীপে আসেন। পরে তিনি মহাস্থানগড়ে (পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানী) এসে স্থায়ী হন।
ঐতিহাসিক সূত্রমতে, সুলতান বলখী ১৩৪৩ খ্রিষ্টব্দে পুণ্ড্রবর্ধনের শেষ রাজা পরশুরামকে পরাজিত করেন। কথিত আছে, শাহ সুলতান (র.) তার শিষ্যদের নিয়ে ফকিরবেশে একটি মাছ আকৃতির নৌকাতে করে ভিন্নমতে, মাছের পিঠে আসীন হয়ে মহাস্থানগড় এসেছিলেন। সেখান থেকে তার নামের সাথে যুক্ত হয়েছে মাহিসওয়ার (মাছের পিঠের আরোহী) এবং তিনি বলখ থেকে এসেছিলেন বলে তাকে শাহ সুলতান বলখী বলা হয়।
মহাস্থানগড় পৌঁছে তিনি ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। এতে প্রথমে রাজা পরশুরামের সেনাপ্রধান, মন্ত্রী এবং কিছু সাধারণ মানুষ ইসলামের বার্তা গ্রহণ করে মুসলমান হয়। এভাবে পুণ্ড্রবর্ধনের মানুষ হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকলে স্থানীয় রাজা পরশুরাম শাহ সুলতানকে ইসলাম প্রচারে বাধা দেয়।
ফলে বলখীর সাথে রাজার বিরোধের এক পর্যায়ে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে রাজা পরশুরাম পরাজিত ও নিহত হন। এখানে সমাহিত শাহ সুলতান বলখীর মাজারে প্রতিদিন বহু লোকের সমাগম ঘটে।