পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
ওই সময় আরাকান রাজ্য থেকে হজরত বাবা আদম (র.) নামে এক গুলি তার ১২ জন শিষ্য নিয়ে এই এলাকায় এসে আস্তানা গড়ে তোলেন। তার শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাহ তারকান, শির মোকাম, শাহ্ বন্দেগী, শাহ জালাল, শাহ ফরমান ও শাহ আরেফিন। বাবা আদম (র.) এবং তার শিষ্যদের ব্যবহার ও আচরণের কারণে তারা অল্পদিনেই স্থানীয় জনগণের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
সে সময়ের হিন্দুপ্রধান এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বগুড়া জেলার শেরপুর হয়ে যমুনা নদী পর্যন্ত বাবা আদম (র.)-এর প্রভাব সৃষ্টি হয়। এ সময় আদমদিঘির জনসাধারণ খাবার পানির সংকটে ভুগছিল। বাবা আদম (র.)-এর আহ্বানে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম এসে এখানে একটি দিঘি খনন করে।
সে সময় এলাকাবাসী বাবা আদম (র.)-এর প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ স্থানটির নামকরণ করে আদমদিঘি। পরবর্তীতে রাজা বল্লাল সেনের বাহিনীর সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যুদ্ধে বাবা আদম (র.) আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে আদমদিঘিতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। তার অছিয়ত মতে দিঘির দক্ষিণ পাড়ে তাকে কবর দেওয়া হয়। সেই থেকে এটি আদম বাবার মাজার নামে পরিচিতি পায়।