পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
গত বৃহস্পতিবার থেকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের আয়োজনে বনানী মাঠে (মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্ক) শুরু হয়েছে এই উৎসব। বাংলার ভোজ অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করছেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল।
মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে প্রায় শতাধিক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের ইলিশ, কক্সবাজারের সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া, অক্টোপাস, নাটোরের কাচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী, সুন্দরবনের মধু, কুমিল্লার রসমালাই, বগুড়ার দই, সুন্দরবনের মধু, অর্গানিক খাদ্যসামগ্রীসহ নানাবিধ দেশি খাবারের সম্ভার সাজিয়ে বসেছেন উদ্যোক্তারা।
এছাড়া দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সংস্কৃতি উৎসব বাংলার ভোজ আয়োজনে রয়েছে নলেন গুড়, ঝোলা গুড়, দইবড়া, বিভিন্ন ধরনের কেক, পিঠা, বিখ্যাত রাজা চা, শেরপুরের ছানার পায়েস, খুলনার চুইঝাল, চট্টগ্রামের কালাভুনা, সিলেটের সাতকরাসহ নানা খাবারের পসরা।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বাংলার ভোজ’ শীর্ষক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য উৎসব-২০২৫। এছাড়াও মেলায় সহযোগিতা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, এসএমই ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন।
মেলাটি চলছে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মেলার দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার বাংলাদেশ শেফ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।