পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
আজ সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলার ভোজ’ নামক দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার উৎসব। আজ শনিবার পিঠামেলার শেষ দিনে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, শনিবার দুপুরের পর থেকেই নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীদের আগমন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই ভিড় আরো বৃদ্ধি পায়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষের ভিড় দেখা যায় মেলায়।
মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্থানের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরখ করে দেখছেন। মেলায় বসে খাওয়ারও সুব্যবস্থা রয়েছে। মেলায় আগতরা তাদের বাড়ির সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনদের জন্য পিঠাপুলি, মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
মহাখালী থেকে মেলায় আসা সাইফুল নামে এক যুবক জানান, এই মেলায় তিনি বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় খাবার পরখ করে দেখতে এসেছেন। এখানকার খাবার ও পিঠাপুলি অনেক সুস্বাদু।
গুলশান-১ থেকে আসা মারিয়া নামে এক তরুণী জানান, তিনি তার বাসার জন্য অর্গানিক খাবার কিনেছেন। এছাড়া এখানকার বিভিন্ন স্টলের বাহারি খাবার তার মন জুড়িয়ে দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের আয়োজনে বনানী মাঠে (মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্ক) শুরু হয়েছে এই উৎসব। বাংলার ভোজ অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করছেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল।
মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে প্রায় সত্ত্বরের অধিক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের ইলিশ, কক্সবাজারের সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া, অক্টোপাস, নাটোরের কাচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী, সুন্দরবনের মধু, কুমিল্লার রসমালাই, বগুড়ার দই, সুন্দরবনের মধু, অর্গানিক খাদ্যসামগ্রীসহ নানাবিধ দেশি খাবারের সম্ভার সাজিয়ে বসেছেন উদ্যোক্তারা।
এছাড়া দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সংস্কৃতি উৎসব বাংলার ভোজ আয়োজনে রয়েছে নলেন গুড়, ঝোলা গুড়, দইবড়া, বিভিন্ন ধরনের কেক, পিঠা, বিখ্যাত রাজা চা, শেরপুরের ছানার পায়েস, খুলনার চুইঝাল, চট্টগ্রামের কালাভুনা, সিলেটের সাতকরাসহ নানা খাবারের পসরা।