পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের আয়োজনে বনানী মাঠে (মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্ক) শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে আমরা সারা দেশে এই ধরনের উৎসবের আযোজন করেছি। তারুণ্যের উৎসবের একটি উদ্দীপক ঘোষণা হচ্ছে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’। এরই অংশ হচ্ছে এই ‘বাংলার ভোজ’ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে প্রায় সত্ত্বরেরও অধিক উদ্যোক্তা স্টল দিয়েছেন। আমরা এভাবে সারা দেশে উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাই।
তিনি বলেন, এখানে যেসব উদ্যোক্তারা এসেছেন, তারা দেখছেন যে খাবারের এই সংস্কৃতিতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা রান্নাবান্নার এই সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে অনেক দূর যেতে পারি। আমরা যদি এই সেক্টরটিকে কাজে লাগাতে পারি তাহলে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ রয়েছে এবং অনেক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এ সময় তিনি ‘বাংলার ভোজ’ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই মেলায় সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছি। আর আমাদের ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই স্টাডির তথ্য অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে এই ট্যুরিজম সেক্টরে প্রায় ৭৬ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ লক্ষ কর্মসংস্থান ফরমাল এবং বাকিগুলো ইনফরমাল সেক্টরে। এই ইনফরমাল সেক্টরের মধ্যে একটি বড় অংশ হচ্ছে এই কালিনারি সেক্টর। তাই এই সেক্টরটিকে সমৃদ্ধ করে তোলার জন্যই এই ‘বাংলার ভোজ‘ উৎসবের আয়োজন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বাংলার ভোজ’ শীর্ষক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য উৎসব-২০২৫। এছাড়াও মেলায় সহযোগিতা করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, এসএমই ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন।
মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে প্রায় সত্ত্বরের অধিক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের ইলিশ, কক্সবাজারের সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া, অক্টোপাস, নাটোরের কাচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী, সুন্দরবনের মধু, কুমিল্লার রসমালাই, বগুড়ার দই, সুন্দরবনের মধু, অর্গানিক খাদ্যসামগ্রীসহ নানাবিধ দেশি খাবারের সম্ভার ছিল। এছাড়া ছিল নলেন গুড়, ঝোলা গুড়, দইবড়া, বিভিন্ন ধরনের কেক, পিঠা, বিখ্যাত রাজা চা, শেরপুরের ছানার পায়েস, খুলনার চুইঝাল, চট্টগ্রামের কালাভুনা, সিলেটের সাতকরাসহ নানা খাবারের পসরা।