পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
মোট ১০০টি স্টল নিয়ে এবারও আয়োজন করা হয়েছে এই লোকজ মেলা। বাঁশ, বেত, কাঠ, শোলা, মাটি, তামা, কাঁসা ও পিতলের তৈরি পণ্যসহ পাটজাত কাঁ দ্রব্য, নকশিথা, জামদানি কাপড়, শীতলপাটি ও শতরঞ্জির পসরা সাজিয়ে বসেছেন চারু-কারু শিল্পীরা। শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য রয়েছে বায়োস্কোপ, নাগরদোলা ও চরকিসহ নানা আয়োজন।
আয়োজকরা জানান, মেলায় প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলবে জারি, সারি, মুর্শিদী, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, লালন ও হাছন রাজার গানসহ পুঁথি পাঠের আসর। এছাড়া দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক বড় সর্দার বাড়ি দেশি বিদেশি পর্যটক ও দর্শণার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।
তাদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, আনসার বাহিনী, স্কাউট দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা নিয়োজিত থাকবে। মেলায় কারু শিল্পীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি কর্মীরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে মাসব্যাপী এ লোকজ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ লোকজ মেলা।