পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আগুনে তিনটি রিসোর্ট পুড়ে গেছে। গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে দ্বীপের গলাচিপা সৈকতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে তিনটি রিসোর্টের ৫১টি কক্ষ পুড়ে গেছে বলে জানা যায়।
একটি রিসোর্টে আগুন লাগার পরপরই লাগোয়া অন্য রিসোর্ট থেকেও প্রাণ বাঁচাতে পর্যটকেরা দৌড়ে বেরিয়ে যান। এতে তাঁদের মালপত্র পুড়ে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক অজিত কুমার দাস জানান, সাইরী রিসোর্টের অভ্যর্থনাকক্ষের মাল্টিপ্লাগের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। সেখান থেকে পাশের বিচ ভ্যালি ও কিংশুক রিসোর্টে আগুন লাগে। এতে বিচ ভ্যালি ও কিংশুক রিসোর্ট পুরোটাই পুড়ে যায়।
পর্যটন ব্যবসায়ী আবদুল মালেক জানান, দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে রাত ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি বিচ ভ্যালি রিসোর্ট মুহূর্তেই পুড়ে যায়। পরে আগুন পাশের কিংশুক ইকো রিসোর্টেও ছড়িয়ে পড়ে এবং সেটিও সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।’
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, আগুনে বিচ ভ্যালির ১৮টি, কিংশুকের ৭টি এবং সাইরী ইকো-রিসোর্টের অভ্যর্থনাকক্ষসহ ২৬টি কক্ষ পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্বীপে কোনো সরকারি ব্যবস্থা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বীপে বিভিন্ন মানের ২৫০টির মতো হোটেল ও রিসোর্ট তৈরি হয়েছে। কিন্তু এসব আবাসিক প্রতিষ্ঠানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কী, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে পর্যটনশিল্পে প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন তিনি।