প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেছেন, প্রাকৃতিক বৈচিত্রের মাঝে যে বৈচিত্র্য আছে, তার একটা মেলবন্ধন ধরিয়ে এখানে পর্যটনকে বিকশিত করা যেতে পারে। পৃথিবীজুড়ে এমন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য আছে সেখানে ইকো ট্যুরিজম নামে একটা বিশেষ নাম আছে। অর্থাৎ প্রকৃতি নির্ভর ট্যুরিজম। এটা সম্প্রদায়ভিত্তিক। তাই প্রকৃতির মাঝে যে মানুষ থাকে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতেই মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে জেলার শ্রীমঙ্গলে তিনদিনব্যাপী ২৬টি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে হারমোনি ফেস্টিভালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শ্রীমঙ্গলের কাকিয়াছড়া চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবেরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাসরিন জাহান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খাঁন মো. রেজা উন নবী, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় প্রমুখ।
তিনদিনব্যাপী ফেস্টিভালে ৪০টি স্টল স্থান পেয়েছে। এসব স্টলে মণিপুরী, খাসিয়া, গারো, ভূমিজ, ত্রিপুরাসহ ২৬টি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচার, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যসহ উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য স্থান পেয়েছে।
তাছাড়া সন্ধ্যার আগত অতিথিবৃন্দের সম্মানে রাঁধারমনের গানে ধামাইল নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। পাশাপাশি গারো ও খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে।