পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
হাজার বছরের পুরাকীর্তি ও মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন দিয়ে সাজানো বাঘা জাদুঘর। বাঘার ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদ ও বিশাল দীঘিকে ঘিরে আগত দর্শনার্থীদের পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধিসহ অতীতের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাঘার বিশাল দীঘির পশ্চিম পাড়ে ও হযরত শাহ আব্দুল হামিদ দানিশমন্দের মাজারের উত্তর দিকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ২০১১ সালের জুন মাসে ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই জাদুঘরের নির্মাণকাজ শুরু করে। এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১২ সালের জুলাই মাসে এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০১৫ সালের ৭ মে।
সময়সূচি
গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। তবে, শুক্রবারে জুমার নামাজের জন্য সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত জাদুঘর বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা ২টা থেকে খোলা হয়। এছাড়াও সরকারি বিশেষ দিবসগুলোতে জাদুঘর খোলা থাকে।
প্রবেশমূল্য
জাদুঘরের মূল ফটকের পাশেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার। জন প্রতি টিকিটের দাম ১৫টাকা; তবে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য টিকেটের প্রয়োজন নেই। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের জন্য প্রবেশমূল্য নির্ধারিত করা হয়েছে ৫ টাকা। সার্কভুক্ত বিদেশি দর্শনার্থীর জন্যে প্রবেশমূল্য পঞ্চাশ টাকা এবং অন্যান্য বিদেশি দর্শকদের জন্য প্রবেশমূল্য দুইশত টাকা।
যেভাবে যাবেন
রাজশাহী জেলা শহর থেকে বাসে করে বাঘা বাস টার্মিনাল এবং সেখান থেকে রিকশা বা ভ্যানে করে বাঘা জাদুঘরে যাওয়া যায়।