■ পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
১৯৪৭ সালের আগে এই বিনোদন কেন্দ্র এবং পাঠাগারে প্রবেশের সুযোগ ছিল না কোনো বাঙ্গালীর। এখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক রেলওয়ের ইংরেজ কর্মকতা এবং তাদের স্ত্রীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
সেসময় বড় লাটদের পছন্দের মধ্যে একটি ছিল বই পড়া। তার বিভিন্ন বিষয়ের অনেক বই সেসময় সংগ্রহ করেছিলেন। এই সংখ্যা নেহায়েত কম নয় কয়েক হাজার। ১৯৪৫ সালের বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযদ্ধের সময় অনেক বই নষ্ট হয়। এছাড়াও বইগুরোর বয়স অনেক বছর হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে অনেক মূল্যবান বইপুস্তক।
পাঠাগার সূত্রে জানা যায়, কয়েক ক্যাটাগরিতে বই সংরক্ষণ করা হতো। এর মধ্যে রয়েছে, উপন্যাস, ছোট গল্প, ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম, ধমীয় ও বিবিধ বই, ভ্রমন কাহিনী, উর্দ্দু, ইংরেজি, নাটক, কবিতা, জীবনী ও প্রবন্ধ। পাঠাগারের রেজিস্টার ঘেটে পাওয়া যায়, উপন্যাস রয়েছে ১২৩৯টি, ছোট গল্প ৯৫৩টি, ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম ৫৮৬টি, ধনীয় ও বিবিধ বই ১৮১টি, ভ্রমণ কাহিনী ২৯০টি, ইংরেজি ১১২১টি, উর্দ্দু ৩৯৪টি, নাটক ৮৬৯টি, জীবনী প্রবন্ধ ১০৩টি, কবিতা ১৬২টি।