পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
এদেশে উৎপাদিত রেশম স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পরও প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি করা হতো। এই রেশম বাজারই প্রথম ইউরোপীয় বণিকদের বাংলায় আসতে আকৃষ্ট করে। ১৮৭০-এর দশকে এক হিসাবে জানা যায়, রাজশাহীতে রেশম উৎপাদনে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার লোক নিয়োজিত ছিল।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে ১৯৬২ সালের মধ্যে সরকারি অর্থায়নে রাজশাহী রেশম ফ্যাক্টরি চালু হয়। স্বাধীনতার পর রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করার ফলে এ শিল্প বৈদেশিক সাহায্য এবং কারিগরি সহায়তা লাভ করে।
১৯৭৭ সালে রেশম খাতের কার্যক্রম সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে রাজশাহী জেলা শহরে বাংলাদেশ সেরিকালচার বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। রেশম শাড়ি বাঙালি রমণীর ঐতিহ্যগত সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক স্বতন্ত্রের প্রতীক। রেশম কাপড়ের বিভিন্ন ডিজাইন ও ধরন- গরদ, মটকা, বেনারসি প্রভৃতি নামে পরিচিত।