পাথরঘাটা উপজেলার একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হরিণবাড়িয়া বনকেন্দ্র। এখানে রয়েছে চোখ জুড়ানো বিস্তীর্ণ সবুজ ধানক্ষেত, সুদৃশ্য তালগাছ এবং নারকেল-সুপারির বাগান। উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় ১২ কিমি. (৭.৫ মাইল)। এখানে সমুদ্রের কূল ঘেঁষে বনভূমি রয়েছে। এই বনভূমির আয়তন প্রায় ১৭৬২ একর। এখানে রয়েছে প্রচুর হরিণ। লালদিয়ার চরসহ সম্পূর্ণএলাকাটি বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে।
বনভূমির ভেতর বেশ কিছু ছোট খাল প্রবাহিত। জোয়ারের সময় এই খাল পানিতে পূর্ণ হয়ে যায় আবার ভাটার সময় তা পানি শূন্য কর্দমাক্ত থাকে। মৎস শিকারিগণ ছোটো আকারের নৌকায় মৎস শিকারের জন্য বনের এ খালগুলোতে বিচরণ করে। মাছ শিকারই এ অঞ্চলের জনগণের আয়ের প্রধান উৎস। পাথরঘাটা উপজেলা থেকে ১৬ কিমি. (১০ মাইল) দক্ষিণে লালদিয়ার চর অবস্থিত। হরিণবাড়িয়া থেকে লালদিয়া পর্যন্ত স্থান জুড়ে রয়েছে সুন্দরবনের সমতুল্য গরান বনভূমি।
এই লালদিয়ার চরের পাশেই বঙ্গোপসাগর থেকে জেগে ওঠা ভূমিতে বনবিভাগ বনভূমি সৃজন করেছে। এই বনের পূর্বে বিষখালী নদী এবং পশ্চিমে বলেশ্বর নদী। দুই নদী এবং সাগরের মোহনা এ বনকে ঘিরে রেখেছে। লালদিয়া চরটিতে বন্যপ্রাণীর মধ্যে বানর, হরিণ, শুকর ও শিয়াল ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী দেখা যায় না। শীতের মৌসুম শুরুতেই নানা জাতের অতিথি পাখির আগমনে চরটি মুখরিত হয়ে ওঠে। বন সংলগ্ন পূর্বপ্রান্তে সমুদ্রসৈকত। নদী ও সাগর বেষ্টিত এই চর পর্যটকদের আকর্ষণ করে।