তীব্র শীত উপেক্ষা করে ছুটির দিনে জমে উঠেছে বাণিজ্য মেলা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণে ছিল উপচে পড়া ভিড়। এবারের বাণিজ্যমেলা সাজানো হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই ও আগস্টের পটভূমিতে। এ আসরে মেলার আয়োজনে তরুণ সমাজকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মেলা শুরুর পর শুক্রবার ছিল প্রথম ছুটির দিন। তবে স্টল তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ এখনো চলছে।
বিক্রেতারা বলছেন, দিনভর খুব বেশি জনসমাগম না থাকলেও বিকালের দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থী মেলায় আসেন। তাদের বেশিরভাগই ঘুরি-ফিরে দেখেছেন। কেউ-কেউ তুলছেন ছবি।
দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করছে বাংলাদেশ। এরপর ২০২২ সালে মেলার ভেন্যু রাজধানীর আগারগাঁও থেকে নিয়ে যাওয়া হয় পূর্বাচলে। এ বছর বসেছে এই মেলার ২৯তম আসর।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবারের মেলার যৌথ আয়োজক। এবারের মেলার বর্ষপণ্য ‘আসবাব’। রীতি অনুযায়ী ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন-বুধবার থেকেই মেলা শুরু হয়েছে।
দেশে পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় এ মেলায় এবার ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫১টিই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের। বাকি ১১টি স্টল সাতটি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। মেলায় অংশ নেওয়া সাতটি দেশ হল- ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া।
মেলায় দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স এ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, আসবাব, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া, কৃত্রিম চামড়ার জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, ক্রীড়াসামগ্রী, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, মনিহারী পণ্য, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল, টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, গৃহসজ্জার পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য মেলায় বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।