বধির ব্যক্তিদের এভারেস্ট জয় সাধারণ মানুষের কাছে সত্যিই রহস্যের। কারণ তাদের প্রধান সমস্যা যোগাযোগ সম্পর্কিত। তবে আমেরিকান অভিযাত্রী স্কট লেহম্যান ও শায়না উঙ্গার সেই অসাধ্য সাধন করেছেন।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২২ মে তৃতীয় ও চতুর্থ বধির ব্যক্তি হিসাবে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন এই দম্পতি। প্রথম বধির দম্পতি হিসাবে তারা জয় করেন বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ।
একই সফরে শীর্ষে পৌঁছানো দ্বিতীয় বধির ব্যক্তি মুহাম্মদ হাওয়ারি হাশিমের সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে তাদের দেখা হয়। মালয়েশিয়ার নাগরিক হাশিম গত ১৮ মে পৃথিবীর এভারেস্ট জয় করেন।
নেপালের সর্বোচ্চ আদালত থেকে অক্ষম পর্বতারোহীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলের কয়েক বছর পর কাছাকাছি সময়ে এই তিন বধির ব্যক্তি এভারেস্টে আরোহন করলেন।
এর আগে শুধু একজন বধির ব্যক্তি এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন। ২০১৬ সালে জাপানি পর্বতারোহী সাতোশি তামুরা তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফল হয়েছিলেন।
পরের বছর নেপাল ঘোষণা করেছিল, তারা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আরোহণের অনুমতি দেবে না। যার মধ্যে শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
সিদ্ধান্তটি প্রতিবন্ধী পর্বতারোহীদের ক্ষুব্ধ করেছিল, যাদের একজন হরি বুধা মাগার। নেপালের এই গুর্খা সৈনিক আফগানিস্তানের যুদ্ধে পা হারান।
তিনি নেপালি প্রতিবন্ধী জোটের অন্যতম সদস্য। জোটটি সুপ্রিমকোর্টে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামে ও ২০১৮ সালে ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল হয়। হরি বুধা মাগার এই বছরের ১৯ মে সফলভাবে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেন।