পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
সুন্দরবন ভ্রমণে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিতে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি দ্য ক্রাউন। সুন্দরবন ট্যুরিজম খাতে একেবারে ভিন্ন আঙ্গিকে নতুন কিছু তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রাউন।
বিশ্বের সবচাইতে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কটকা, কচিখালি, হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, হারবারিয়া এবং করমজল ইত্যাদি নৈসর্গিক স্থান ঘুরে দেখতে বেঁছে নিতে পারেন সুন্দরবনের নতুন সর্বাধুনিক ও বিলাসবহুল জাহাজ এমভি ক্রাউন। ভ্রমণের স্পট: হাড়বারিয়া, জামতলা সি-বিচ, কটকা, টাইগার পয়েন্ট, কচিখালী, ডিমের চর এবং করমজল ইত্যাদি।
জাহাজের রুমের বিন্যাস ও সুবিধা
এমভি ক্রাউন জাহাজে রয়েছে ২৮টি আধুনিক ও সুসজ্জিত রুম। রুমগুলোতে মোট ৭৫ জন যাত্রী আরামে থাকতে পারবেন এবং রুমগুলো দুই
শ্রেণিতে বিভক্ত-
* প্যানোরামা রুম (২০০০০ টাকা জনপ্রতি)। প্যানোরামা রুমগুলোতে থাকবে ১৮০ ডিগ্রি রিভারভিউ সুবিধা ও যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী বেশ কয়েক ধরনের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী রুমগুলো সাজানো হয়েছে। যেমন-
Panorama Deluxe (২ জনের জন্য)
Panorama Triple (৩ জনের জন্য)
Panorama Triple Plus (৩ জনের জন্য)
Panorama Excel (৪ জনের জন্য)
Panorama Ultra (৪ জনের জন্য)
* স্টেট রুম (১৮০০০ টাকা জনপ্রতি)। স্টেট রুমগুলি জাহাজের নিচের ডেকে অবস্থিত এবং এগুলোতে পাওয়া যাবে নিরিবিলি ও আরামদায়ক পরিবেশ। স্টেট রুমগুলো ধারণক্ষমতা অনুযায়ী দুই ধরনের। যেমন-
State Deluxe (২ জনের জন্য)
State Triple (৩ জনের জন্য)
জাহাজের প্রত্যেকটি রুমে একই ধরনের সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেমন-আধুনিক অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জাসহ প্রশস্ত রুম, প্রতিটি রুমে আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, আরামদায়ক বিছানা, সোফা ও আয়না, ইন্টারকম সুবিধা, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস, ব্যাগ/লাগেজ সংরক্ষণের জন্য কেবিনেট, প্রতিটি রুমে স্যাটেলাইট টেলিভিশন, ইন্টার কানেক্টিং রুম, অ্যাটাচড ওয়াশরুম, ওয়াশরুমে নরমাল ও হট ওয়াটার সাপ্লাই।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও বিন্যাস
জাহাজের প্রত্যেকটি ফ্লোর সুপরিকল্পিতভাবে ডিজাইন করা। যাত্রীদের ওঠানামা, চলাচল এবং ভ্রমণ উপভোগের কোনো স্থানেই দৃশ্যমান নেই জাহাজের কোনো যান্ত্রিক অথবা স্টাফ ইউনিট। আরও সহজ করে বললে জাহাজের ইঞ্জিন রুম, স্টাফ রুম অথবা কিচেন রুম সবকিছুই থাকবে যাত্রীদের নজরের বাইরে। জাহাজে প্রবেশের জন্য থাকছে দুটি এন্ট্রি পয়েন্ট/প্রবেশদ্বার, যেগুলো রয়েছে মেইন ডেকের পেছনে এবং সামনের দিকে।
মেইন ডেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি রিসিপশন ডেস্ক। জাহাজের মধ্যবর্তী স্থানে প্রশস্ত করিডোর এবং প্রত্যেকটি ফ্লোরে ওঠানামার জন্য সিঁড়ি। রয়েছে প্রেয়ার রুম বা নামাজের স্থান। গেস্ট রুমের সর্বোচ্চ প্রাইভেসি নিশ্চিত করার জন্য মেইন ডেক এবং লোয়ার ডেকে নেই কোনো কমন বারান্দা।
জাহাজের লোয়ার ডেকে রয়েছে দুই ধরনের স্টেট সিরিজের ১৪টি রুম এবং শিশুদের জন্য প্লে জোন। রয়েছে অভিজ্ঞ শেফ দিয়ে সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা। একইসাথে ৭০ জনের অধিক অতিথির খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। ৮০ জনেরও অধিক অতিথি নিয়ে সেমিনার আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। সার্বক্ষণিক চা ও কফির ব্যবস্থা। জুস কর্নার। লাইভ বার-বি-কিউয়ের ব্যবস্থা। আরও যেসব সুবিধা রয়েছে- মাল্টিমিডিয়া সেটআপ, আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ডিজে সেটআপ ইত্যাদি।
এছাড়া ডেক ও মেইন ডেক থেকে সুন্দরবন উপভোগের জন্য প্রচুর খোলা জায়গা এবং বসার ব্যবস্থা। গল্প আড্ডার জন্য আরামদায়ক স্থান। রিডিং কর্নার। মিউজিক কর্নার। সিটিং সুবিধাসহ সুইমিং পুল। শিশুদের জন্য জন্য লোয়ার ডেকে রয়েছে সুদৃশ্য প্লে জোন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সব রুমে রয়েছে লাইফ জ্যাকেট, পর্যাপ্ত লাইফবয়া, ফার্স্ট এইড বক্স। আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।
ট্যুর প্যাকেজ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে এবং বুকিং করতে কল করতে পারেন নিচের নম্বরে- +৮৮০১৫৫০৬৯৯৭৩৩, +৮৮০১৫৫০৬৯৯৭৩২ (ঢাকা অফিস), +৮৮০১৭১২৭৮৬৩০৮, +৮৮০১৫৫০৬৯৯৭৩৪ (খুলনা অফিস)