লেখকঃ মোফাজ্জল হোসেন
শুক্রবার (১৯ মে) সকালে সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাইনুর রহিম, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকৌশলী জাহিদুল করিম, কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান, প্রত্নতাত্ত্বিক সহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান তালুকদার, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, রসায়নবিদ লিয়াকত আলী ও মুখলেছুর রহমান।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ বাড়িটির মূল কাঠামো ঠিক রেখে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। জুলাই-আগস্টের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, বাড়িটির সীমানা নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি। সীমানা নির্ধারণের পর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও পুকুর সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। ২০১২ সালে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়িটির পাশে একটি অতিথিশালা নির্মাণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা স্বল্প টাকায় অতিথিশালায় থাকতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সনের ২৯ ডিসেম্বর সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ পরিদর্শনে গিয়ে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে জালালপুর ইউনিয়নে বৃটিশ বেনিয়াদের অত্যাচারের সাক্ষী নীল কুঠির স্থাপনা রক্ষার জন্যও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন তিনি।