প্রকৌশলী জেবি বড়ুয়া:
যুক্তরাষ্ট্র একটি দেশ নয়, ৫২টি রাজ্য বা প্রদেশ নিয়ে যেন একটি মহাদেশ। এই ৫২টি রাজ্যের অনেকগুলোর আয়তন বাংলাদেশের চেয়ে, কোনো কোনোটি কয়েকগুণ। বিরাট দেশ বলে এক এক অঞ্চলের এক এক রূপ, বৈচিত্র্যেও অভাব নেই। আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরেছি, দেখেছি বহু শহর ও দর্শনীয় স্থান। কোনো কোনো নগর বন্দর যেন বিশেষ উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয়েছে বা কোনো বিশেষ পারিপার্শ্বিক কারণে বিশেষ বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে। আমার দেখা আমেরিকার অনেক শহর বা নগরের মধ্যে তিনটি শহরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য আমার নজরে এসেছে। যেমন- আমার অভিজ্ঞতায় ‘লাস ভেগাস’কে মনে হয়েছে জুয়াড়িদের শহর, ‘হলিউড’কে পাগলের শহর (এত পাগল আমি আর কোথাও দেখিনি), আর ‘মিয়ামি বিচ’কে ন্যাংটা বা অর্ধ-ন্যাংটা মেয়েদের লীলাভূমি। তার মানে আপনি যদি জুয়াড়ি দেখতে চান যাবেন লাস ভেগাসে, পাগল দেখতে হলে হলিউডে আর ন্যাংটা বা অর্ধ-ন্যাংটা মেয়ে দেখতে মিয়ামি বিচে।
প্রশাসনিক বিভাজনে ‘মিয়ামি’ ও ‘মিয়ামি বিচ’ দুটি সম্পূর্ণ আলাদা শহর। মিয়ামি হচ্ছে মূল ভূখণ্ডে ( Main Land) অবস্থিত বিশাল কসমোপলিটন নগর। আর আটিলান্টিকের বুকে মূল ভূখণ্ডের কাছে কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপকে নিয়ে মিয়ামি বিচ শহর, মূল ভূখণ্ডের সাথে সেতু দিয়ে সংযুক্ত। বিসকেইন উপসাগরে অবস্থিত মিয়ামি বিচ প্রধানত ট্যুরিস্ট সমাগম এলাকা, মূলত অগণিত ট্যুরিস্ট হোটেল ও অবসর কাটানোর অ্যাপার্টমেন্ট (Holiday or Retired Apartments) নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলোর উত্তর ও দক্ষিণে বড় বড় বিচ, উষ্ণ ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার কারণে সারা বছর পর্যটক সমাগমে মুখর। এছাড়া মিয়ামি বিচেই রয়েছে ‘পোর্ট অব মায়ামি’, যা পৃথিবীর ‘ক্রুজ রাজধানী’ হিসাবে খ্যাত।
২০০০ সালে আমেরিকা ভ্রমণে এসে তখন আমি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সর্ব-দক্ষিণে ফোর্ট লডারডেলে অবস্থান করছিলাম। মিয়ামি প্রবাসী আমার এক অধ্যাপক বন্ধু খবর পেয়ে সেপ্টেম্বরের এক বিকালে আমাকে মিয়ামিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেন। ফ্রি ওয়ে ধরে গাড়ি চালিয়ে ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে ফোর্ট লডারডেল থেকে মিয়ামিতে বন্ধুর বাসায় পৌঁছে যাই। তখন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা। বন্ধুপত্নী সাদর অভ্যর্থনা জানায়। তাদের বিয়ের আগের থেকে আমার সাথে মহিলার পরিচয় ছিল, খানিকটা বন্ধুত্বও ছিল। অনেকদিন পর পুরোনো বন্ধু ও বান্ধবীর সাথে মিলিত হয়ে আমরা সবাই খুবই আনন্দিত হই।
সকালে ব্রেকফাস্টের পর বন্ধুবর তার কলেজে চলে গেলে আমার বন্ধুপত্নী বা আমার প্রাক্তন বান্ধবী আমাকে নিয়ে বের হন। একটি ট্যাক্সিতে করে আমরা সাউথ বিচে আসি। আটলান্টিকের পাড়ে এই সেই আমেরিকার বিখ্যাত মিয়ামি বিচ, যার কত গালগপ্প শুনেছি। কিন্তু প্রথম দর্শনে খুব হতাশ হলাম। স্বদেশে বিদেশে ভারত মহাসাগর (বঙ্গোপসাগরসহ), প্যাসিফিক ও আটলান্টিকের পাড়ে বহু বিচ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তার মধ্যে যে কয়টি নিকৃষ্টতর বিচ দেখেছি, এটি তার অন্যতম। আমাদের কক্সবাজার, ইনানী ও কুয়াকাটার সাথে কোনো তুলনাই হয় না। যাহোক, মাঝবয়সি বন্ধুপত্নীর সাথে বিচে হাঁটা শুরু করি। এক সময় সে আমার একটি হাত ধরে, গায়ে গা লাগিয়ে হাঁটে। তার হাতের স্পর্শের অনুরণন আমার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আমি তার হাতটি টেনে নিয়ে আলতো করে চুমো খাই। বান্ধবী মিষ্টি করে হাসে। ইচ্ছে হচ্ছিল ওই পরিবেশে ‘আই সুড গিভ হার এ প্রপার কিস’। কিন্তু সাহস হলো না।
বিচে আমরাই শুধু হেঁটে বেড়াচ্ছি, অন্যরা জোড়ায় জোড়ায় বা দলে দলে সমুদ্রে স্নান করছেন বা বালির চরে রৌদ্রস্নান করছেন। তাদের গায়ে স্বল্পবাস স্নানের পোশাক, মেয়েরা বিকিনি পরা, ছেলেরা বক্সার পরা। অল্প এগোতে দেখি, কয়েকটি মেয়ে টপলেস হয়ে বালুকা তটে চাদর বিছিয়ে রৌদ্রস্নান করছে। গোপন অঙ্গটি সামান্য ফিতার মতো কিছু দিয়ে ঢাকা। পাশ থেকে দেখলে মনে হয় কিছুই নেই। হাঁটতে হাঁটতে দেখি এরকম আরও অনেক। এক জায়গায় আমাদের সামনেই তিন/চারটি মেয়ে টপলেস হয়ে জল থেকে উঠে আসছে। কাছ থেকে তাদের উদ্ধত স্তনাগ্র চূড়া থেকে জলের ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছে, যেমন শীতের ভোরে কচুপাতা থেকে শিশিরবিন্দু গড়িয়ে পড়ে। আমি দাঁড়িয়ে ঘাবার মতো তাকিয়ে দেখতে থাকি মেয়েগুলোর নিরাভরণ দেহবল্লরী আঁকবাঁক ও খাঁচখোঁচ।
বন্ধুপত্নী বললেন- আরে অমন অসভ্যের মতো তাকিয়ে আছেন কেন? বললাম- আমি অসভ্য মানুষটা এসব সভ্য নারীদের অনাবৃত দেহের অপূর্ব সৌষ্ঠব দেখার লোভ সামলাতে পারছি না। তাদের অঙ্গ নড়াচড়ার সময় উন্মুক্ত উদ্ধত স্তন যুগলের আন্দোলন আর নিতম্বের হিল্লোলকে মনে হচ্ছিল, যেন এক একটি চলমান ছন্দময় কবিতা। বন্ধুপত্নীকে ঠাট্টা করে বললাম- ‘চলুন আমরাও কাপড় খুলে নেমে পড়ি’। উত্তরে বললেন- ‘আপনার সাথে সমুদ্রে নাইতে নামার এই প্রস্তাবের চেয়ে, এই মুহূর্তে আমার কাছে আনন্দময় আর কিছু নেই। আপনার বন্ধু বড় বেরসিক মানুষ, এসবে কোনো উৎসাহ নেই।’ আমি সাগরজলে নামার জন্য তৈরি হয়ে আসিনি। আর এদিকে বন্ধুপত্নী সত্যি সত্যি তার পরনের জামা-প্যান্ট খুলতে শুরু করেন। আমি অনেক কষ্টে তাকে নিবৃত্ত করি। আমি আপত্তি না করলে তিনিও টপলেস হতেন কিনা জানি না। যাহোক, আমি তার সুডৌল উরুদ্বয় ও স্তন যুগলকে সূর্যালোকে উম্মোচিত হতে দিইনি।
লাঞ্চের আগে আমরা বাসায় ফিরে যাই। লাঞ্চের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে বিকালে আমি একা বের হয়ে মেইন ল্যান্ডের জাহাজ বা লঞ্চ ঘাটে আসি। মিয়ামির একমাত্র আকর্ষণ কিন্তু সমুদ্রজলে বা রৌদ্রে স্নানরত নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নারীদের অনাবৃত দেহবল্লরী দর্শন নয়। এখানে আছে দেখার আরও অনেক মনোমুগ্ধকর দ্রষ্টব্য ও উপভোগের নানা আয়োজন। তার মধ্যে একটি অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ বিসকেইন উপসাগরে ‘ক্রুজ ভ্রমণ’।
ক্রুজ ভ্রমণে দ্রষ্টব্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মিয়ামি ডাউন টাউনের দর্শনীয় আকাশচুম্বি স্কাইলাইন, মিয়ামি বন্দর, ফিশার দ্বীপ, মিয়ামি সৈকত ও আমেরিকার মিলিওনিয়ারদের ঘরবাড়ি। ডাউন টাউনের লঞ্চঘাটেই বিসকেইন উপসাগরে ‘ক্রুজ ভ্রমণ’ পরিচালনাকারী বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিস আছে। আমি একটি সংস্থা থেকে দেড় ঘণ্টার প্রমোদভ্রমণের টিকিট কাটি। আমাদের জন্য নির্দিষ্ট ক্রুজ শিপ বা লঞ্চটির নাম ‘আইল্যান্ড লেডি’।
জেটি থেকে পাঁচটায় প্রমোদতরীটি ছাড়ে। আমরা দশ/বারো জন যাত্রী। দিনটা বেশ গরমের। দেখি আমি ছাড়া সবার মাথায় সানহ্যাট, চোখে সানগ্লাস ও মুখে সানস্ক্রিন মাখা। জেটি ছেড়ে লঞ্চ এগোতে থাকলে পেছনে মিয়ামি ডাউন টাউনের দৃষ্টিনন্দন স্কাইলাইন দৃশ্যমান হয়। আকাশচুম্বী এক একটি অট্টালিকার স্থাপত্য অনবদ্য। উঠে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে গিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রমোদতরীর আন্দোলনে তাল সামলাতে না পেরে পাশে বসা তরুণী সহযাত্রীর কোলের ওপর পড়ি! আমার একটি হাত তার দুই নরম উরুর সন্ধিস্থলে পড়ে। ভাবলাম, কি জানি বলে। না, সে কোনো রকম রাগ না দেখিয়ে বরং একটু হেসে আমাকে ধরে উঠে বসতে সাহায্য করে। তার উন্মুক্ত সুডৌল বাহুলতার স্পর্শ ও তার দেহের সুবাস আমার স্নায়ুতে শিহরণ জাগায়। পরবর্তী সময় আরও ছবি তোলার সময় বার বার ভেবেছি- বেতাল হয়ে আবার কেন পড়ে যাই না। ভাবি, একবার ইচ্ছে করে অভিনয় করেই পড়ে যাব নাকি। সাহস হলো না। কেননা, যদি বুঝতে পারে তাহলে চ্যাংদোলা করে আমাকে বিসকেইন উপসাগরে ছুঁড়ে ফেলবে!
আমাদের তরী এগিয়ে যায় তটরেখা থেকে বেশ দূর দিয়ে পোর্ট অব মিয়ামি’র দিকে। দেখি লাইন দিয়ে দাঁড়ানো মিয়ামি ডাউন টাউনের স্কাইলাইন বিশাল বিশাল অপূর্ব সুন্দর অনেক ক্রুজ শিপ। এখান থেকে ভ্রমণার্থীদের নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাড়ি দেয় বিলাসবহুল এসব বিশাল প্রমোদতরী। দূর থেকে প্রমোদতরীগুলোর বিশালত্ব ও জাঁকজমক অবাক হয়ে দেখি। তারপর আমাদের তরী ঘুরে দ্বীপের আরেক দিকে চলে আসে। এখানে তটরেখার ধারে ধারে অনুপম দর্শনীয় সব অট্টালিকার সারি। এক এক খ- বিশাল জায়গার ওপর এক একটি বাড়ি নির্মিত। বাড়িগুলোর স্থাপত্য এবং প্রত্যেকটির বাড়ির চারদিকে গড়ে তোলা বাগান ও ল্যান্ডস্কেপের বিন্যাস অতুলনীয়। গাইড জানালো, এই বাড়িগুলোর মালিক আমেরিকার সব ধনাঢ্য ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তিরা। শীতকালে উত্তরের অন্যান্য রাজ্যগুলো যখন বরফে ঢাকা পড়ে তখন বা অন্য সময়ে বিশেষ অবসর কাটাতে ওইসব অঞ্চলের বড়লোকেরা এখানকার বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে এসে থাকেন। এই বাড়িগুলোর সারিকে বলা হয় ‘মিলিওনিয়ার্স রো’।
আমাদের তরী তীর ঘেঁষে আস্তে আস্তে চলতে থাকে। অবাক বিস্ময়ে দেখতে থাকি বর্ণাঢ্য বাড়িগুলোর জৌলুস, দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য ও অনুপম বিন্যাস। এরপর প্রমোদতরীটি ফিশার আইল্যান্ড ও সাউথ বিচের বরাবর ঘুরে যায়। যেদিকে তাকাই সেদিকে মন ভোলানো আর চোখজুড়ানো দৃশ্য। খুব তাড়াতাড়ি যেন দেড় ঘণ্টা সময় শেষ হয়ে এলো। ধীর লয়ে আমদের তরী আবার জেটিতে এসে ভিড়ে। আমরা তীরে উঠে আসি। এই অনবদ্য রোমাঞ্চকর ক্রুজ শিপের সারি ভ্রমণে দেখা মিয়ামি বিচের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলোর কথা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
পরদিন সাপ্তাহিক ছুটি। বন্ধুবরের কলেজ নেই। তিনি সকালে তার গাড়িতে করে আমাকে নিয়ে বের হন, মিয়ামি বিচের আর এক বিশেষ দ্রষ্টব্য দেখানোর জন্য। এটি হলো ‘মিয়ামি সিকুরিয়াম’ (Miami Seaquarium)। সিকুরিয়ামে জনপ্রতি প্রবেশমূল্য খুব বেশিই মনে হলো। অ্যাকুরিয়ামে সমুদ্রতলের লেবেলে নানা সামুদ্রিক প্রাণীর সমাহার। এই অ্যাকুরিয়ামের আসল দ্রষ্টব্য জাঁকালো সামুদ্রিক প্রাণী ডলফিনের প্রাণ-মাতানো খেলা। নিচের অ্যাকুরিয়াম দেখে আমরা আসি স্টেডিয়াম আকারের এক বিরাট ওয়াটার পুলে। দুদিকে দর্শকদের বসার গ্যালারি। আমরা গ্যালারিতে উঠে দর্শক সারিতে গিয়ে বসি। শুরু হয় ডলফিনের মনোমুগ্ধকর খেলা। পুলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভেসে বেড়ানো, মাঝে জল থেকে মাথা তুলে দর্শকদের উদ্দেশে অবোধ্য ভাষায় কিছু বলা এবং নানা রকম অ্যাক্রোব্যাট।
এরপর চলে সংগীতের মূর্ছনার তালে তালে পুলের জলে ডলফিনের একক নৃত্য, যুগল নৃত্য ও দলীয় নৃত্য। তারপর দেখি দুটি বাচ্চা ছেলেমেয়ে একটি অনুচ্চ মঞ্চে এসে দাঁড়ালে দুটি ডলফিনও ওই মঞ্চে উঠে আসে এবং তাদের সাথে খেলায় মত্ত হয়। তারপর বাচ্চা দুটি ডলফিন দুটির পিঠে চড়ে জলে ভাসে। তারা ডলফিনের সাথে হুটোপুটিতে মাতে এবং নানা অ্যাক্রোব্যাটে অংশ নেয়। আমরা আরও অনেক দর্শকের সাথে ডলফিনের এই অনবদ্য লীলা নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেখতে থাকি। এক সময় অনুষ্ঠান শেষ হলে দর্শদের করতালিতে মুখর হয় সমগ্র পুল। এখানে দর্শকদেরও ডলফিনের সাথে খেলায় অংশ নেয়ার ব্যবস্থা আছে। এ জন্য আলাদা টিকিট লাগে। দারুণ এক অভিজ্ঞতা নিয়ে পুল থেকে বের হয়ে আসি। বন্ধুবরকে ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি দ্রষ্টব্যস্থানে নিয়ে আসার জন্য। দুপুর দেড়টায় আমরা বাসায় ফিরে আসি।
লাঞ্চের পর আমরা দেশের কথা, পুরোনো দিনের বিশেষ করে ছেলেবেলার কথা স্মরণ করে আড্ডায় মশগুল হই। অল্প কিছুক্ষণ পর এই পুরোনো বন্ধু ও বান্ধবীকে ছেড়ে চলে যেতে হবে- এই ভেবে মাঝে মঝে মনটা খারাপ হয়ে আসছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আমার মিয়ামি থেকে লন্ডন ফিরে যাওয়ার পোগ্রাম।
লেখক: গবেষক ও পরিব্রাজক (অব. সরকারি কর্মকর্তা)
আরও পড়ুন:
# মোকারম হোসেনের ‘আমেরিকার কয়েকটি বর্ণিল মুহূর্ত’
# মার্জিয়া লিপির ‘ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র সৈকতে’
# এলিজা বিনতে এলাহীর ‘হিমালয়ের ঐতিহ্য’