উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সংক্ষেপে যেটি ‘উত্তরা ইপিজেড’, বা, ‘নীলফামারী ইপিজেড’ নামেও পরিচিত), বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহর নীলফামারীর অদূরে সংগলশী এলাকায় অবস্থিত। এইটি এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ২১৩.৬৬ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের একমাত্র কৃষিভিত্তিক এবং ৭ম বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা।
উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি নীলফামারীর অদূরে সংগলশী এলাকায় অবস্থিত। এটি সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এছাড়া চিলাহাটি স্থলবন্দর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪০৯ কিলোমিটার উত্তরে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮২ কিলোমিটার উত্তরে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা দূরীকরণের লক্ষ্যে ২১২ একর জায়গায় উত্তরা ইপিজেড স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেন।
পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০০১ সালের ১ জুলাই তিনি নীলফামারী এসে উত্তরা ইপিজেডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ওই সময় চীনের একটি মাত্র সোয়েটার কোম্পানি দিয়ে উত্তরা ইউপিজেডের পথচলা শুরু হয়েছিল। ২১৩.৬৬ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটির ১৯০টি শিল্প প্লট রয়েছে এর মধ্যে ১৫৪টি প্লটে প্রায় ২৪টি দেশি–বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কারখানা স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটি প্লটের আকার গড়ে প্রায় ২০০০ বর্গমিটার।