ঠাকুর মান্দা মন্দির বা শ্রীশ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির হলো নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় ঠাকুর মান্দা গ্রামে অবস্থিত একটি রাম মন্দির। এই মন্দিরটি প্রায় তিনশো বছরের পুরনো। মন্দিরের পূর্বদিকে রয়েছে শিব নদী।
একসময় মন্দিরের চারদিকে ছিল বিল। একদিন মান্দার বিলে স্নান করতে যান এক দরিদ্র অন্ধ ব্রাহ্মণ। তিনি ছিলেন রামভক্ত। স্নানকালে তিনি রাম, লক্ষ্মণ ও সীতা বিগ্রহ পান। তিনি বিগ্রহগুলোকে কোলে করে নিজের বাড়ি নিয়ে যান। পরে তিনি মন্দির তৈরি করে পুজো অর্চনা শুরু করেন। এতে তিনি তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান। আর তার দরিদ্রতাও দূর হয়ে যায়। এ কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে নাটোরের রাণী ভবানী ১৭৮০ সালে এই মন্দিরটি বড়ো পরিসরে নির্মাণ করেন।
মন্দিরের সেবাইত ছিলেন ‘মানদাদেবী’। তার নামে এই এলাকার নাম মান্দা হয়েছে। এছাড়া রঘুনাথ নামে মন্দিরের এক পুজারীর কথা শোনা যায়। জাগ্রত মন্দির হওয়ার জন্য মন্দিরের নাম শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউ মন্দির হয়েছে। ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের অর্থে তৈরি মন্দিরের বিশ্রাম ভবনের উদ্বোধন করা হয়।
এই মন্দিরটি খুব জাগ্রত। এই মন্দিরে মানত করে অনেকের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। অনেকে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে । অনেকের সন্তান লাভ হয়েছে। মানতে অনেক মৃত শিশু প্রাণ ফেরার কথাও শোনা যায়। অনেক মুসলিমও এখানে মানত করে। বাসন্তী পূজার মহানবমীতে মন্দিরে রামচন্দ্রের পূজার মাধ্যমে রাম নবমী উৎসব শুরু হয় যা ১৫ দিন অবধি চলে। রাম নবমীতে এখানে ৯ দিনের মেলা বসে। এছাড়া মন্দিরে লক্ষাধিক ভক্ত আসে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে।