পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
দুটি দোচালা কুঁড়েঘরের চালের মতো দুটি ছাদকে একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে পাকা ছাদ তৈরি করা হয়েছে। এর জন্যই এর নাম হয়েছে ‘জোড় বাংলা মন্দির’। ছাদের মধ্যভাগ বেশ উঁচু হলেও ছাদের ধার উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে গেছে। পশ্চিমমুখী মন্দিরের সামনে রয়েছে একটি বারান্দা এবং তাতে দুটি স্তম্ভের সাহায্যে প্রবেশপথ রয়েছে ৩টি।
প্রবেশপথ এবং সংলগ্ন স্তম্ভ ও দেয়ালের নির্মাণ কৌশলে দিনাজপুরের কান্তনগর মন্দির এর সঙ্গে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়। দেয়াল ও স্তম্ভে এক সময় প্রচুর পোড়ামাটির চিত্রফলকে অলংকৃত ছিল। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পে মন্দিরের যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত হয়। মন্দিরের সঙ্গে সংস্থাপিত কোনো শিলালিপি না থাকলেও স্থানীয়দের মতে, মুর্শিদাবাদের নবাবের তহশীলদার ব্রজমোহন ক্রোড়ী আঠারো শতকের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমানে মন্দিরের সংস্কার কাজ হয়েছে।