পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
তবে বর্গাকৃতি ভবনটির শীর্ষদেশ চারটি ত্রিভুজ আকৃতির ক্রমহ্রাসমান ছাদে আচ্ছাদিত ছিল। মন্দিরের পাশেই পূজার ঘর অবস্থিত। এ ক্ষুদ্র মন্দিরটি গম্বুজবিশিষ্ট এবং ধনুক বক্র কার্নিশ ও গম্বুজের চারকোণে চারটি দৃষ্টিনন্দন শিখর রয়েছে। অনুকূল চন্দ্রের পিতা-মাতার স্মৃতিরক্ষার্থে এই মন্দির নির্মিত হয়। স্মৃতিমন্দিরটি অন্যান্য ইমারতের তুলনায় এখনো সুসংরক্ষিত অবস্থায় আছে। সম্প্রতি নবনির্মিত সৎসঙ্গ-আশ্রম-মন্দির সমন্বয়ে গঠিত স্থাপত্য নিদর্শনটি সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
অনুকূল চন্দ্র ‘সৎসঙ্গ’ নামে একটি জনহিতকর সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত স্বাবলম্বন ও পরনির্ভরশীলতা ত্যাগের দীক্ষাই অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমের আদর্শ। তিনি মানবকল্যাণে তার সম্পদ, জায়গা সবকিছু উৎসর্গ করেন। পেশায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে অনুসরণযোগ্য বহুবিধ নির্দেশ দান করেন- যেগুলো ভক্তদের কাছে মহাবাণীরূপে সমাদৃত। এক হিসাব অনুযায়ী, অনুকূল চন্দ্র ৮২টি বাংলা এবং ১২টি ইংরেজি ভাষায় বই রচনা করেন।
এগুলোতে ধর্মশিক্ষা, সমাজ ইত্যাদি বিষয়ে আদর্শ ও উপদেশ বর্ণিত। এর মধ্যে পুণ্যপুথি, অনুশ্রুতি (৬ খণ্ড), চলার সাথী, শাশ্বতী (৩ খণ্ড) প্রীতিবিনায়ক উল্লেখযোগ্য। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে তার আশ্রম রয়েছে। এই সাধক ১৯৬৯ সালে বিহারে মৃত্যুবরণ করেন। এখানে শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্রের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐ সময় এখানে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। এমনকি ভারত থেকেও লোকজন এখানে আসেন।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনযোগে পাবনা পৌঁছাতে পারেন। পাবনা বাস টার্মিনাল থেকে থেকে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ (আশ্রম-মন্দির) ৭ কিমি দুরে অবস্থিত। উক্ত পথ বাস টার্মিনাল থেকে রিকশা, অটোরিকশা বা সিএনজিযোগে যাওয়া যায়।