পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
১৯৫৭ সালে তৎকালীন পাবনা জেলার সিভিল সার্জন একটি জমিদার বাড়িতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে হেমায়েতপুরে ১১৩ একর জায়গার ওপর হাসপাতালটি স্থানান্তরিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে শয্যা সংখ্যা ছিল ৬০। বর্তমানে এর মোট শয্যা সংখ্যা ৫০০।
হাসপাতালটির মোট ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে পেয়িং ও নন-পেয়িংসহ পুরুষ রোগীদের জন্য ১৩টি এবং মহিলা রোগীদের জন্য ৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে একজন পরিচালক রয়েছেন। হাসপাতালের ৩৬৫টি পদের মধ্যে মনোরোগবিদ্যা বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, নিদানিক মনস্তত্ত্ববিদ, প্রাণরসায়নবিদ, মনোরোগ অভিজ্ঞ সমাজকর্মী কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য পদে সহকারী হিসেবে সেবিকা, ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, প্রশাসনিক সহকারী রয়েছেন।
এ হাসপাতাল সারাদেশ থেকে আগত মানসিক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়। সাধারণত ১৮ বছরের নিচে এবং ৬০ বছরের অধিক বয়সি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় না। এছাড়া মানসিক প্রতিবন্ধী ও মৃগী রোগীকেও ভর্তি করা হয় না। মাদকাসক্তদের শুধু পেয়িং বেডে ভর্তি করা হয়। যেসব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় না তাদের বিনামূল্যে উপদেশ ও ওষুধ দেওয়া হয়। এছাড়াও খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ইত্যাদির ব্যবস্থাও হাসপাতালে রয়েছে। রোগীদের জন্য নিয়মিত মেডিকেল পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। হাসপাতালের অধিকাংশই স্কিটসোফ্রেনিক (সিজোফ্রেনিক) রোগী।
পাবনা মানসিক হাসপাতালে সরকার অনুমোদিত একটি জনকল্যাণ সংস্থা রয়েছে। রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর তাদের নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর খরচ এই সংস্থা বহন করা ছাড়াও হাসপাতালের সক্ষম রোগীদের চাকরি বা কাজের ব্যবস্থাও করে। বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর থেকে এই সংস্থা বাৎসরিক অনুদান পায়। এছাড়া এটি দুগ্ধখামার, কৃষিখামারসহ কয়েকটি প্রকল্পও পরিচালনা করে।