পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
হযরত শাহ শরিফ জিন্দানী(রহঃ) নব দীক্ষিত মুসলিমদের নিয়ে একটা দল গঠন করেন এবং চলন বিলের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের দাওয়াত পৌছান। মুসলমান সংখ্যা দিন-দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থার জন্য ১৫২৬ খ্রি. গৌড়াধিপতি সুলতান নসরত শাহ এর রাজত্বকালে এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।
মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট এবং চার প্রান্তে চারটি ছোট ছোট গম্বুজ আছ। প্রধান গম্বুজের উচ্চতা ২৬ ফুট যাতে খিলানের কাজ করা। মূল মসজিদটির বাইরের দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট, প্রস্থ ৩৩.৫ ফুট, উচ্চতা ২২.৫০ ফুট। মসজিদ সংলগ্ন বারান্দার দৈর্ঘ্য ২৩.৫ ফুট এবং প্রস্থ ১১ ফুট। মসজিদের দেয়ালের পুরুত্ব ৯.০ ফুট।
৫০০ বছর আগের প্রাচীন মসজিদটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। যেখানে প্রতি শুক্রবার শত শত মানুষ জুমার নামাজ আদায় করেন এবং প্রতি বছর চৈত্র মাসের ১ম শুক্রবার বাৎসরিক ওরছ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মূল মসজিদের ভেতরে হযরত শাহ শরিফ জিন্দানী (র.) এর কবর অবস্থিত।