পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারির ৮-২৪ তারিখ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান বাহিনীর বিশতম বোমারু বাহিনী এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছিল। এই বিমানবন্দর থেকে ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইট চালু হয়। ১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ১৯৯৪ সালে পুনরায় চালু হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ার পর ১৯৯৮ সালে এ বিমানবন্দর থেকে কিছু দিনের জন্য এয়ার পারাবতের ফ্লাইট চালু হলেও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময় সেটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কোনো যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করে না। সর্বশেষ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনা করেছিল; ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারা পরিষেবা বন্ধ করে দেয়।
ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের অবস্থান একটি বিবাদমান বিষয়। এই বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ভবন ভৌগলিকভাবে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত। তবে এর রানওয়ের কিছু অংশ নাটোর জেলার লালপুর উপজেলায় পড়েছে। তবে ঐতিহাসিক ও আর্থসামাজিক কারণে সম্পূর্ণ বিমানবন্দর এলাকাটিকে পাবনা জেলার একটি বিশেষায়িত প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক নথিতে বিমানবন্দরটিকে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, পাবনা বলে আখ্যায়িত করা হয়। কর্তৃপক্ষ তাদের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকেও একে পাবনা জেলার বলে উল্লেখ করে।
তবে কোনো সিডিউল ফ্লাইট না থাকলেও অফিসিয়ালভাবে বিমানবন্দর ও যোগাযোগ যন্ত্রপাতি সক্রিয় রয়েছে। বিমান শাখায় ১৫ জন জনবলসহ বিমানবন্দরের রানওয়ে, এপ্রোচ, টেক্সিওয়ে সবকিছু কার্যক্ষম আছে। যাত্রী সংকটের কারণে এ বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল লাভজনক না হওয়ায় বিমানবন্দরটি এখনো চালু করা হয়নি। তবে ঈশ্বরদী ইপিজেড স্থাপিত হওয়ার পর বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। বিমানবন্দরের ৪৩৭ একর স্থানের মধ্যে ২৯১ একর জমি মিলিটারি ফার্মকে দেওয়া হয়েছে।