পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
এর মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ি এলাকায় প্রবেশপথের পূর্ব পাশের শিব সরোবরের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত সুউচ্চ এই পঞ্চরত্ন মন্দিরটি পুঠিয়ার মন্দির স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। সুউচ্চ (১১ইঞ্চি-৮ইঞ্চি) ও সুবিশাল এক বর্গাকার (৬৫ইঞ্চি-০ইঞ্চি×৬৫ইঞ্চি-০ইঞ্চি) মঞ্চের ওপর এক কক্ষবিশিষ্ট এই মন্দিরটির প্রতিটি রত্নের উপরিভাগ ক্রমান্বয়ে সজ্জিতাকারে স্থাপিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কতকগুলো সুঁচালো চূড়ায় আচ্ছাদিত। কেন্দ্রীয় কক্ষের অভ্যন্তরে কৃষ্ণপ্রস্তরে নির্মিত একটি বিশালাকৃতির শিবলিঙ্গ স্থাপিত রয়েছে।
কেন্দ্রীয় কক্ষ ও তার চারিদিকের প্রদক্ষিণ বারান্দার চার কোণের অভ্যন্তরস্থ উপরিভাগ অর্ধবৃত্তাকৃতির গম্বুজে ও চার বলয় চৌচালা ছাদে আচ্ছাদিত। প্রদক্ষিণ বারান্দার চারিধার মোগল রীতির খাঁজখিলান পথে উন্মুক্ত। মন্দিরটির সুউচ্চ মঞ্চে আরোহণের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি সিঁড়িপথ বিদ্যমান। ১৮২৩-১৮৩০ সনে রাজা জগন্নারায়ণের স্ত্রী রানি ভুবনময়ী এটি নির্মাণ করেন। এটি নির্মাণে সে সময় তিন লক্ষ মুদ্রা ব্যয় হয়েছিল বলে জানা যায়। পূর্বে মন্দিরায়তনের দ্বারের নিকট একটি জলঘড়ি ছিল যা বর্তমানে নেই।
পুঠিয়ায় অবস্থিত মন্দিরগুলোর মধ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি। এ মন্দিরকে ভুবনেশ্বর মন্দিরও বলা হয়ে থাকে।
কিভাবে যাবেন:
রাজশাহী জেলা সদর থেকে পুঠিয়া প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক ধরে পুঠিয়া পৌঁছানো যায়। বাসে করে দেশের যে কোনো স্থান থেকে পুঠিয়া আসা যায় এবং ট্রেনে করে নাটোর অথবা রাজশাহী নেমেও সড়কপথে সহজে যাওয়া যায়।