পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
রাজশাহী শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিখ্যাত পুঠিয়া রাজবাড়ির মুখোমুখি মাঠ পেরিয়ে এই মন্দির স্থাপিত। মন্দিরটির সরাসরি সামনে পুঠিয়া রাজবাড়ি এবং পেছনে বড় শিব মন্দির এবং রথ মন্দির নামক দুটো মন্দির রয়েছে।
চারতলা এই মন্দিরটি বর্গাকার, প্রতিটি তল ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আনুপাতিক হারে কমে এসেছে মেঝের ক্ষেত্রফল। একইভাবে উচ্চতাতেও প্রতি তলা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কমে এসেছে মেঝে থেকে ছাদের দূরত্ব। নিচতলা থেকে দোতলার মেঝের দূরত্ব যতটা, তার থেকে দোতলার মেঝে থেকে তিনতলার ছাদের দূরত্ব কম। এভাবেই চতুর্থ তলা পর্যন্ত যাওয়ার পর ওপরে রয়েছে গম্বুজাকৃতির সূঁচালো চূড়া। প্রত্যেক তলের চারপাশে ঘিরে রয়েছে প্রশস্ত তলের টানা বারান্দা।
নিচতলার প্রতিটি বাহুতে ৭টি, দোতলায় ৫টি, তিনতলায় ৩টি এবং চতুর্থতলায় ১টি, মোট দরজার সংখ্যা যথাক্রমে ২৮, ২০, ১২ এবং ৪টি। মোট প্রবেশপথ তথা দরজার সংখ্যা ৬৪। এ জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা একে ডাকেন হাজারদুয়ারী বলে। মন্দিরটিতে কোনো প্রতিমা কিংবা পূজার ঘর নেই, পুরোহিত-পূজারিদের আনাগোনা দেখা যায় না।
ধারণা করা হয়, এটি পূজার উদ্দেশ্যে নির্মিত কোনো মন্দির নয়। তিনতলা পর্যন্ত প্যারাপেট দেওয়াল এবং চতুর্থ তলার মারলন অলঙ্কার মন্দিরটিকে সুসজ্জিত করেছে।