পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
জানকী বল্লভ রায় চৌধুরীরা ছিলেন দুই ভাই। তিনি ছিলেন ছোট। আর বড় ভাই ছিলেন রাম বল্লভ। বড় ভাই ছোট ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মূলত এই জমিদারির জন্যই এই হত্যার পরিকল্পনা। ছোট ভাই অর্থাৎ জানকী বল্লভ রায় চৌধুরী তার বৌদির মাধ্যমে এই ব্যাপারটি জানতে পারেন। পরে রাতের আঁধারে তিনি মুর্শিদাবাদে চলে যান এবং সেখানে নবাবের কাছে এই বিষয়ে বলেন।
তখন মুর্শিদাবাদের নবাব তাকে অরংপুর পরগনার জমিদার হিসেবে নিযুক্ত করেন। জমিদারি পেয়ে তিনি কলসকাঠিতে এসে বসতি স্থাপন করেন। আর এইভাবেই কলসকাঠিতে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ১৩ জন জমিদারের বাস ছিল। আর তাদের আলাদা আলাদা জমিদার বাড়ি ছিল। যারা মূলত এই জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তনকারী জানকী বল্লভ রায় চৌধুরীর বংশধর ছিল। তারা এই এলাকার প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন।
বর্তমানে জমিদার বাড়ির বাড়িগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। এখানে কিছু মন্দির আছে সেগুলোও প্রায় ধ্বংসের মুখে।