কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ট্রেন যাত্রায় অংশ নিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হতে আগে থেকে প্রথম দিনের টিকিট বুকিং করেছিলেন যাত্রীরা। এই যাত্রায় এক হাজার ২০ জন যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক। কক্সবাজার থেকে ট্রেনে নিজ গন্তব্যে ফিরতে পেরে খুশি তারা। আবার কক্সবাজারবাসীরও উচ্ছাসের কমতি নেই। প্রতিটি যাত্রীকে চকলেট এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
স্টেশনমাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, ট্রেনটি রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছে। ফিরতি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়ে রাত সাড়ে ১০টায়।’ পরদিন সকাল ৮টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়। কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল প্রথম টিকিট কেটেছিলেন কক্সবাজার রেলস্টেশন থেকে। তিনি যাত্রী হতে পেরে আনন্দিত। সাবেক এ জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি কিভাবে প্রকাশ করা যায় আমার জানা নেই। খুবই অসাধারণ অনুভূতি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, রেলযাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য রেলস্টেশনে থাকছে টুরিস্ট পুলিশ।
৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রুটে রেলের আগাম টিকিট বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন একটি ট্রেন সকালে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং রাতে ঢাকা থেকে একই ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলে গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেলসংযোগ উদ্বোধনের সময় ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন।
১ ডিসেম্বর দুপুর পৌনে ১টায় কক্সবাজার থেকে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর। সে সময় কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন রেলওয়ে মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুল আহসান। প্রথম যাত্রায় অভাবনীয় সাড়া পাওয়ায় আনন্দিত রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে অপারেশন ও পরিবহণ দপ্তর বলছে, সাধারণ যাত্রীদের যে সাড়া মিলছে-তাতে এ রুটে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জোড়া ট্রেন চালানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে সমানতালে পণ্যবাহী ট্রেনের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রেন চালালে যাত্রীদের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে। রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চলমান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস শিগগিরই কক্সবাজার পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার, সিলেট-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে অন্তত ৬ জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
৪৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে জানিয়ে রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, এ রুটে আরও অনেক ট্রেন চলবে-চাহিদাও রয়েছে। সংকট নিরসনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার-ঢাকা, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ট্রেন যাত্রায় আমরা সবাই আনন্দিত। খুব কাছ থেকে দেখেছি, সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে কী যে আনন্দ-উল্লাস, বলে বোঝানো যাবে না।
ঢাকা রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সফিকুর রহমান জানান, আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা জানি, এ রুটে যাত্রীদের চাহিদা ব্যাপক। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালালেও যাত্রীদের আরও চাহিদা থাকবে।
ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. শাহআলম কিরণ শিশির জানান, কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটিতে ১৮টি বগি ছিল। মোট ১০১০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ছুটেছে। প্রত্যেক যাত্রীকে ফুল এবং শিশুদের চকলেট দিয়ে আমরা বরণ করেছি, শুভেচ্ছা জানিয়েছি। যাত্রীদের চোখেমুখে খুশি এবং আনন্দ দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
ভাড়া
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে শোভন চেয়ার (নন-এসি সিট) শ্রেণিতে প্রতিটি সিটের ভাড়া ৫০০ টাকা ও এবং স্নিগ্ধা (এসি সিট) শ্রেণিতে প্রতিটি সিটের ভাড়া ৯৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম শ্রেণি চেয়ার ৬৭০ টাকা, প্রথম শ্রেণির বার্থ/সিট ১ হাজার ১৫০ টাকা এবং এসি বার্থের টিকিটের দাম জনপ্রতি ১ হাজার ৭২৫ টাকা।
তবে ননস্টপ ট্রেনের ক্ষেত্রে শোভন চেয়ার ৫০ টাকা ভাড়া বাড়বে। একই সঙ্গে স্নিগ্ধা, প্রথম শ্রেণি, এসি বার্থের ভাড়াও ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে।
সময়সূচি
ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামে ট্রেনটি চলছে। ট্রেনটির নম্বর ৮১৩/৮১৪। এতে ৭৮০টি সিট থাকবে। ১৬/৩২ লোডের ট্রেনটি ঢাকা থেকে সোমবার ও কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।
কক্সবাজার থেকে ৮১৩ নম্বর ট্রেনটি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। চট্টগ্রামে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে বিকেল ৪টায় ছেড়ে বিরতিহীনভাবে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৮টায়। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ৩ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ৮টা ৩৩ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে।
অন্যদিকে ৮১৪ নম্বর ট্রেনটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ছেড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে। সেখানে ৫ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ৪টায় ছেড়ে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে।
টিকিট কাটার উপায়
অন্য সব ট্রেনের মতো কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিটও কাউটন্টার ও অনলাইনে পাওয়া যাবে। অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাবে (https://eticket.railway.gov.bd) ওয়েবসাইটে।
কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন সুবিধাসমূহ
ছয়তলার এই স্টেশনে রয়েছে চলন্ত সিঁড়ি, মালামাল রাখার লকার, তারকা মানের হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমল, শিশুযতœ কেন্দসহ আধুনিক সব সুবিধা। ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সংবলিত স্টেশনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এতে আছে কনভেনশন হল, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথ, এটিএম বুথ এবং নামাজের স্থান।
‘ট্রেনবালা’
‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ১১ তরুণী এ সেবা দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তারা সাধারণ যাত্রীদের কাছে ‘ট্রেনবালা’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। যাত্রীবান্ধব অভিজ্ঞতার সঙ্গে বিনয়ী, ভদ্রতায়ও তারা এগিয়ে আছেন। এক কথায় বলা যায়, বিমানের মতো ট্রেনেও এখন সেবা মিলছে ট্রেনবালার।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ট্রেনবালা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে রাত-দিন ট্রেনে যাত্রীদের সেবায় দায়িত্ব পালন করছেন। বিনা টিকিটে যাত্রী তোলা বা অন্য কোনো অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় তাদের সেবায় যাত্রীদের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষও বেশ আনন্দিত।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমরা রেলে যাত্রীদের শতভাগ সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। নারী-শিশুসহ যাত্রীসেবা উন্নয়নে নারী সেবিকারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। দক্ষ, চটপটে, স্মার্ট-এসব নারী সাধারণ যাত্রীদের কাছে ‘ট্রেনবালা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। শুধু কক্সবাজার রুটে নয়, বিরতিহীন সব কটি ট্রেনেই এ সেবা নিশ্চিত করা হবে।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হোসেন বলেন, ট্রেনে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া এসব নারীর পদবি স্টুয়ার্ড। তবে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা তাদের ট্রেনবালা বলেই ডাকছেন। তরুণীদের পোশাক থেকে শুরু করে ব্যবহার-সেবার ধরন সবই বিমানবালার মতো। আমরা বিমানবালার মতো তাদের প্রশিক্ষিত করে তুলেছি।
রেলওয়ে মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুল আহসান বলেন, সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে যে সারা মিলছে, আমরা খুবই আনন্দিত। তরুণীরাও সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছেন। বিরতিহীন সব ট্রেনেই ‘ট্রেনবালা’ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাধারণভাবে যাত্রী পরিসেবায় নারীরা ভালো কাজ করবেন।
১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা-কক্সবাজার পথে আরেকটি ট্রেন
পর্যটকদের চাহিদা সামাল দিতে নতুন বছরের প্রথমদিন থেকে ঢাকা-কক্সবাজার পথে আরেকটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
নতুন এ ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তিনটি- পালংকি এক্সপ্রেস, তরঙ্গ এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস। কোরিয়া থেকে আনা নতুন কোচ দিয়ে এই ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ১৬ কোচের ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা থাকবে ৭৮০টি। রোববার থাকবে সাপ্তাহিক বন্ধ।
ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়। ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৪টায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। কক্সবাজার পৌঁছবে বেলা ৩টায়।
ট্রেনে আসার টিকিট থাকলেই হোটেলে ৭০ শতাংশ ছাড়!
রেলে কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয় অধিকাংশ হোটেল কর্তৃপক্ষ। রেলের টিকিট দেখালেই ৬০-৭০ শতাংশ ছাড় মেলে আবাসনে। তারকা হোটেলগুলোতেও ৫০ শতাংশ এবং ক্ষেত্রবিশেষে ৬০ শতাংশ ছাড় মেলে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় জনশূন্য কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ছাড়ের এই সুযোগ এক সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ১ ডিসেম্বর দুপুরে ১০২০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছেড়ে যায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস। ফিরতি ট্রেনটি সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে পরদিন সকাল ৮টায় কক্সবাজার স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ট্রেনে সিংহভাগই পর্যটক। হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। হোটেলে এসে রেলে ভ্রমণের টিকিট প্রদর্শন করলেই এ সেবা পান পর্যটকরা। ২ ডিসেম্বর সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে সমিতিভুক্ত হোটেলের পক্ষ থেকে পর্যটকদের মাঝে প্রচারপত্র বিলি করা হয়। একই সঙ্গে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয় পর্যটকদের। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরাও সহযোগিতা করেন।
হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ বলেন, ট্রেন চালু হওয়ায় শুধু কক্সবাজারের মানুষ নয়, পুরো দেশের মানুষ আনন্দিত। দেশের যে কোনো প্রান্তের মানুষ সহজেই কক্সবাজার আসতে পারবে। এ খুশিতে আমরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত বিশেষ এ ছাড় দিই।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হোয়াইট অর্কিড হোটেলের মহাব্যবস্থাপক রিয়াদ ইফতেখার বলেন, বছরের এ সময় পর্যটকে ভরপুর থাকে কক্সবাজার। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় এবার ভরা মৌসুমেও পর্যটকশূন্য। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যবসায়ীদের। অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ অনিচ্ছা সত্তের শ্রমিক বিদায় করছেন। প্রায় ৫০ ভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ট্রেনে পর্যটক আগমন অব্যাহত থাকলে সব হোটেল যদি কমবেশি পর্যটক পায় তবে ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারবে।
পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন