দীর্ঘ দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্যান্ডেল টাঙিয়ে দুপাশে দাঁড়িয়ে ভিক্ষুদের ছোয়াইং, চাল, নগদ টাকা, চীবর, মোমবাতিসহ উৎসবের নানা সামগ্রী দান করেন। উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ নেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, মন্ত্রীর সহধর্মিণী মেহ্লা প্রত্ন মারমা প্রমুখ।
রাজস্থলী বিহারের অধ্যক্ষ দিপালোক ভিক্ষু বলেন, প্রায় দুহাজার বছর আগে পূর্ণিমার এ তিথিতে গৌতম বুদ্ধের মহাপুণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন তুলা থেকে চরকায় সুতা তৈরি করে বুদ্ধের পরিধানের জন্য চীবর (কাপড়) বুনে এ কঠিন ব্রত পালনে দান করেছিলেন। সেই থেকে প্রতি বছর বৌদ্ধ বিহারগুলোতে কঠিনচীবর দানোৎসব পালন করা হয়।
রিতা তঞ্চঙ্গ্যা জানান, এ উৎসবে পুণ্য লাভের আশায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পিন্ডদানের পাশাপাশি নানা রকম মিষ্টান্নও দান করেন। এছাড়া ভিক্ষুদের সামনে থাকা বৌদ্ধমূর্তি পূজা করেন। উৎসবের শেষদিন বিকালে কয়েকদিন চলা সব দান ও প্রার্থনা বুদ্ধের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনায় তারা সর্বজনীন প্রার্থনায় অংশ নেন।
পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন