পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে সব ধরনের পর্যটক যাতায়াত করতে পারবেন।
বর্তমানে সন্ত্রাসী তৎপরতা কমে আসায় ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনপ্রিয় ও রোমাঞ্চকর এই পর্যটন কেন্দ্রটি বান্দরবান শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রোয়াংছড়ি উপজেলার আলিক্ষ্যং ইউনিয়নে পড়েছে। বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি হয়ে যেতে হয় কচ্ছপতলি। সেখান থেকে দেড় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। আর সেখানে পাথরের দু’পাহাড়ের মাঝখানে পাহাড়ি ঝর্ণা ও স্বচ্ছ পানি। অনেক জায়গায় গভীর জঙ্গল ও পাথরের দেয়ালের কারণে সূর্যের আলো পর্যন্ত পৌঁছায় না।
পাহাড়ের নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের তৎপরতার কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে পর্যটকদের যাতায়াতে প্রশাসন থেকে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একইসাথে রুমা ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ও পর্যটকদের জন্য সেনাবাহিনীর তিনটি ক্যাম্প থেকে টহলসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। বর্তমানে পর্যটকদের জন্য প্রতিদিন একটি করে টহল টিম ও প্রতি ক্যাম্প থেকে লং রেঞ্জ পেট্রোল নিয়োজিত থাকবে। একইসাথে প্রতিটি পর্যটককে নিরাপত্তার জন্য গাইড নেয়ার পাশাপাশি তথ্য জমা দিতে হবে। প্রতিটি পর্যটককে ১৫০ টাকা এন্ট্রি ফি দিতেও হবে।
এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে ঘিরে দেবতাখুম এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হোটেল রিসোর্ট ও দোকানপাট।