পর্যটকদের অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে হাওড়। তাই চাইলে বেড়িয়ে আসতে পারেন কিশোরগঞ্জের দৃষ্টিনন্দন হাওড় পর্যটনের অলওয়েদার সড়ক ও সেতুপথ এবং বেড়িবাঁধ ও করচবন এলাকা।
বর্ষা মৌসুমে নদ-নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে হাওড়ের পানিও বাড়ছে। ইতোমধ্যে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে রঙ-বেরঙের নৌযান। রিসোর্ট ও খাবার হোটেলগুলোকে সাজানো হয়েছে হাওড়পাড়ে।
পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানান, নদ-নদীর পাশাপাশি উন্মুক্ত হাওড়াঞ্চলেও বর্ষার পানি বাড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশিতে ভরে উঠবে হাওড় পর্যটন এলাকা। ইতোমধ্যেই স্পিডবোটসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযানগুলোকে পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
২০০০ সালে কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা নিকলী সদরকে বর্ষার প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবল থেকে রক্ষায় সরকার সেখানে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ তৈরি করে। আর তখন ওই বেড়িবাঁধ এবং নিকলী উপজেলার ছাতির চর গ্রাম রক্ষায় গড়ে ওঠা করচবন এলাকা ভরা বর্ষায় পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় উঠে আসে।
২০২০ সালে এই হাওড় পর্যটন এলাকার সঙ্গে হিরণ্ময় পালক হিসেবে যুক্ত হয় হাওড় উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের ওপর দিয়ে সরীসৃপের মতো এঁকেবেঁকে চলা ২৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন অলওয়েদার সড়ক ও সেতুপথ। আর তখন থেকেই যেন দেশ-বিদেশের ভ্রমণবিলাসী ও সৌন্দর্য বিলাসী পর্যটক দল বর্ষা মৌসুমে এ হাওড় পর্যটন এলাকায় আসতে শুরু করেন। প্রতিটি স্পটে রঙ-বেরঙের নৌকা ও স্পিডবোটের আমদানি করে এক শ্রেণির লোকজনও বর্ষা মৌসুমে নতুন জীবিকার সন্ধান পায়।
বর্ষায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বয়সের হাজারও নারী-পুরুষ পর্যটকদের ঢল নামে এই হাওড় পর্যটন এলাকার বিভিন্ন স্পষ্টে। দিগন্ত বিস্তৃত সাগরের মতো জলরাশির ওপর শাপলার মতো দোল খেতে খেতে ভেসে থাকা গ্রামগঞ্জের অপূর্ব দৃশ্য, স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বেড়িবাঁধ ও করচবন এলাকায় নিশি রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ানো, নৌ-যান নোঙর করে জলকেলিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন পর্যটকরা।