পদ্মা সেতু চালুর পর সারা বছরই কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। তবে ঈদে কুয়াকাটায় পর্যটক ও দর্শনার্থীর ভিড় কয়েক গুণ বেড়ে যায়।ঈদের ছুটিতে এবার ৫০ হাজার পর্যটকের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে সাগরকন্যা কুয়াকাটা।
ঈদের প্রথম দিন থেকেই কুয়াকাটায় ভ্রমণ পিপাসুরা বেড়াতে আসেন।তবে ওই দিন নিকটবর্তী এলাকার পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল বেশি। এরপর ঈদের দ্বিতীয় দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকরা কুয়াকাটা ভ্রমণে আসেন।
আগত এসব পর্যটক সমুদ্রে সাঁতার কাটাসহ প্রিয়জনের সঙ্গে ছবি তুলে সময়কে উপভোগ করেন। কেউ কেউ সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোলোভা ঢেউ। সৈকতের বালিয়ারিতে ফুটবল খেলে, সেলফি তুলে কিংবা হই-হুল্লোড় করে উপভোগ করেন পর্যটকরা। অনেকে আবার ওয়াটার বাইক নিয়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ান।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো ফেরিবিহীন কুয়াকাটা গমনে বিগত বছরগুলোর মতো কারো চোখে-মুখে বিতৃষ্ণার ছাপ ছিল না। অল্প সময়ে কুয়াকাটা পৌঁছাতে পেরে তারা অনেক খুশি। বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের আগমনে খুশি পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।
কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা ঢাকার আশুলিয়ার ব্যাংকার অনুরাধা সরকার জানান, বেশ অল্প সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটায় নিজস্ব গাড়ি নিয়ে নির্বিঘ্নে আসতে পেরে বেশ ভালই লাগছে। তার মতে, আগামী কুয়াকাটায় আরও পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। একই অনুভূতি প্রকাশ করেন ঢাকার জুরাইনের অনুপম দাস, রাজশাহীর মাহীদুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন পর্যটক।
কুয়াকাটা হোটেলে মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি এমএ মোতালেব শরীফ জানান, এবারের ঈদ পরবর্তী ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের আগমনে তাদের ব্যবসা বেশ ভালো হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, এবারের ঈদের ছুটিতে পর্যটক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এত মানুষের রাতযাপনের ব্যবস্থা কুয়াকাটায় নেই। এ কারণে অনেকেই সারা দিন ঘোরাঘুরি করে ফিরে গেছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, কুয়াকাটা সৈকতসহ তৎসংলগ্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।