পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে মা ভবানী মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটির একদিকে ভবানীপুর বাজার এবং অন্যদিকে একটি উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। আর মন্দিরের চারদিক ঘিরে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে।
কালিকাপুরান অনুসারে, দক্ষযজ্ঞে দেবী সতী স্বামী নিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহত্যাগ করেন। সতীর প্রাণহীন দেহ ৫১টি খণ্ডে বিভক্ত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পতিত হলে একান্নটি পীঠস্থানের উদ্ভব হয়- যার মধ্যে এটি একটি। প্রাচীন এই মহাতীর্থক্ষেত্রের বর্তমান মন্দির অবকাঠামো নাটোরের রাণী ভবানী কর্তৃক দেবোত্তর ১২ বিঘা জমির ওপর অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়।
প্রাচীর বেষ্টিত মন্দির চত্বরের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণমুখী মূল মন্দির, বামেশ ভৈরব শিবমন্দির, তিনটি শিবমন্দির, ভোগ পাকশালা, নাটমন্দির, দুটি অতিথিশালা, বাসুদেব মন্দির, গোপাল মন্দির, নরনারায়ণ সেবাঙ্গন (শ্যামাপ্রসাদ সেবা অঙ্গন), শাঁখারী পুকুর ও দুটি স্নান ঘাট। বেষ্টনী প্রাচীরের বাইরে তিনটি শিবমন্দির এবং একটি পঞ্চমুণ্ড আসন রয়েছে। নাটোরের রাণী ভবানীর ছোট তরফ এস্টেট এবং অন্যান্য জমিদারদের পক্ষ থেকে এই মন্দিরের অনুকূলে প্রচুর ভূসম্পত্তি দান করা হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র এই পীঠস্থান ও তীর্থক্ষেত্রে রামনবমী, শারদীয় দুর্গোৎসব, শ্যামা পূজা, মাঘী পূর্ণিমা, বাসন্তী দুর্গোৎসব, প্রভৃতি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ওইসব অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি ভারত, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকেও প্রতি বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থী এই মন্দিরে সমবেত হন।