পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
দেশে কিংবা দেশের বাইরে আকাশ কিংবা স্থলপথে যেকোনো ভ্রমণের পূর্বেই একটি সঠিক পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। আসুন জেনে নেয় ঝামেলাহীন ভ্রমণের জন্য ৭টি গুরুত্বপূর্ন টিপস।
সঠিক এজেন্সি থেকে টিকিট কিনুন
অনলাইনের এই যুগে চারিদিকে অনেক ভূইফোঁড় ট্রাভেল এজেন্সি দেখা যায় যাদের নিজেদের কোনো অফিস পর্যন্ত নেই। তাই টিকিট কাটার আগে অবশ্যই ওই এজেন্সি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
সঠিক সময়ে বিমানবন্দরে আসুন
বিমান ভ্রমণের জন্য সঠিক সময়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকাটা জরুরি। যারা নতুন বা প্রথম বিমান ভ্রমণ করেন তারা হয়তো চিন্তা করেন ফ্লাইট টাইমের কিছু আগে বিমানবন্দর উপস্থিত থাকলেই হলো। আসলে ব্যাপার কিন্তু তা নয়, আপনাকে আপনার ফ্লাইটের মিনিমাম ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে আসতে হবে। টিকিটে যে সময় দেওয়া থাকে তা হলো ফ্লাইং টাইম অর্থাৎ ওই সময়ে প্লেন ছেড়ে যাবে, কিন্তু এর আগে চেকইন, বোর্ডিংয়ের সকল প্রস্তুতি সারতে হয়। তাছাড়া ডোমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইটে আধাঘণ্টা আগে থেকেই চেকইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই টিকিটে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকাটা জরুরি।
লাগেজের ওজন মেপে নিন
যাত্রার শুরুতেই আপনার লাগেজের ওজন মেপে নিন। লাগেজের ওজন পরিমাণের থেকে অতিরিক্ত হলে আপনাকে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। আপনার টিকেটেই লেখা থাকবে আপনি ক্যারি অন এবং লাগেজে মোট কত কেজি মালামাল বহন করতে পারবেন। ওয়ারপোর্টে গিয়ে অতিরিক্ত ওজনের জন্য জরিমানা না দিয়ে বাসা থেকেই লাগেজের ওজন মেপে নেয়াটা ভালো।
চেকইন
ওয়ারপোর্টে আসার পর প্রথমেই যে কাজটি আপনাকে করতে হবে তা হলো চেকইন। চেকইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ভ্রমণের আগে বিমানবন্দরে কোনো বিমান সংস্থা যাত্রীদের গ্রহণ করে। চেকইন ব্যবস্থাটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে হয়ে থাকে। এটি ভ্রমণ শুরুর আধাঘণ্টা আগে শেষ হয়ে থাকে।
সঠিক সিট পছন্দ করে নিন
চেকইন করার সময়ই আপনি আপনার পছন্দের সিটটির কথা কাউন্টারে যিনি থাকবেন তাকে বলুন। মনে রাখবেন পরবর্তীতে আপনি চাইলেও আপনার সিট পরিবর্তন করতে পারবেন না। যদি সঙ্গীসহ ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে সেটা বলে নিবেন যে আপনারা পাশাপাশি সিট চাচ্ছেন। আর যদি প্রথমবারের মতো বিমান ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে জানালার পাশের সিট নিতে পারেন তা না হলে বিমানের মধ্যে এদিক ওদিক তাকিয়েই ভ্রমণ সারতে হবে।
খাবার
বিমানে খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ খাবারের টাকা তারা টিকেটের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। লম্বা বিমান যাত্রা কিংবা অল্প সময়ের বিমান যাত্রা যাই হোক না কেন সব এয়ারলাইন্সেই খাবার দেওয়ার বিষয়টি প্রচলিত আছে।
কি কি নিয়ে ভ্রমণ করা যাবে না আগেই নিশ্চিত থাকুন
বিমান ভ্রমণে ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই কি কি জিনিস নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন। বিশেষ করে ধারালো কোনো কিছুই ব্যাগে বহন করা যাবে না। এর বাইরে পচনশীলদ্রব্য যেমন কাঁচা মাংস মসলা ফল এগুলোর ব্যাপারেও এয়ারলাইন্সগুলোর নিষেধাজ্ঞা থাকে।