পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
চলচ্চিত্র সংসদের জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক আবরার নাদিম মুমশাদ জানিয়েছেন, সিনেমার এই উৎসব চলবে বুধবার পর্যন্ত। ফাগুনের ফুল পলাশের সঙ্গে বিপ্লবের রক্তিম আভার সমন্বয়ে এবারের উৎসবের পোস্টার রাঙানো হয়েছে।
মুমশাদ বলেছেন, শনিবার সকাল ১০টায় সুভাষ দত্ত পরিচালিত দ্রুপদি চলচ্চিত্র ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হয়।
প্রথমদিনের আয়োজনে আরও রয়েছে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘ভাত দে’, আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদ পরিচালিত ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’, এবং নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমাগুলো। বিকাল সাড়ে চারটায় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র সংসদের মডারেট হাবিবা রহমান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জলিল, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতসহ আরো অনেকে।
এ বছরের উৎসবে সমসাময়িক ও ধ্রুপদি মিলিয়ে ১৯ টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখানো হবে। সেগুলো হল ‘কাজলরেখা’, ‘নকশী কাঁথার জমিন’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘প্রিয় মালতী’, ‘তুফান’, ‘বলী’, ‘আম্মাজান’, ‘রিকশা গার্ল’। এছাড়াও প্রদর্শিত হবে তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র; যার মধ্যে রয়েছে রিপন কুমার দাস ধ্রুব পরিচালিত মারমা ভাষার চলচ্চিত্র ‘খিয়াং’।
পাঁচ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিন ৪টি করে মোট ২২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা, বেলা ১টা, দুপুর সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিনেমাগুলো দেখানো হবে। টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ টাকা।
উৎসবের শেষ দিন উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেন স্মরণে গতবছর মুক্তিপ্রাপ্ত সেরা চলচ্চিত্রকে ‘হীরালাল সেন পদক’ এ ভূষিত করা হবে। এ বছর হীরালাল সেন পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে ‘প্রিয় মালতী’, ‘কাজলরেখা’, ‘নকশী কাঁথার জমিন’ এবং ‘পেয়ারার সুবাস’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ ২০০২ সাল থেকে এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে।