১৯৭৪ সালে মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলা আবিষ্কৃত হয়। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ১৯৭৪-৭৫ সালে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার রানিপুকুর ইউনিয়নের অন্তর্গত লালপুর গ্রামের ১৮৩ মিটার মাটির নিচে এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়ায় ১২২ মিটার মাটির নিচে প্রচুর পরিমাণ কঠিন শিলার (আগ্নেয় শিলা) সন্ধান পায়। এরপর ১৯৭৯ সালে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পটির প্রাথমিক কর্মকাণ্ডের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এবং ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক যমুনা সেতুর নির্মাণকাজের জন্য এই কঠিন শিলা ব্যবহৃত হয়।
প্রকল্পটিতে অর্থায়নের জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে উত্তর কোরিয়ার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পটি থেকে বছরে ১০ লক্ষ ঘনমিটার বা ১৬ লক্ষ টন কঠিন শিলা উত্তোলিত হয়, যার আমদানি মূল্য ১৫০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে ৫৭০ জন এবং পরোক্ষভাবে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রায় ১.৪৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পে প্রাক্কলিত মজুতের পরিমাণ ১৭২ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং উত্তোলনযোগ্য মজুত প্রায় ৭২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। মধ্যপাড়ার কঠিন শিলাসমূহের মধ্যে নিস (Gness), গ্রানোডায়োরাইট (Granodiorite) এবং কোয়ার্টজডায়োরাইট (Quartzdiorite) উল্লেখযোগ্য।