দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার উত্তরে ১২ কিমি. দূরে খানপুর ইউনিয়নের রতনপুরে অষ্টাদশ শতকের এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। ব্রিটিশরা অষ্টাদশ শতকে ফুলবাড়ি জমিদারের পক্ষে খাজনা আদায়ের জন্য রাজকুমার নামে এক ব্যক্তিকে রতনপুর কাচারিতে নিয়োগ দেয়। এখান থেকে তিনি বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ফুলবাড়ি এলাকার প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করতেন। তার কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে ফুলবাড়ি জমিদার তার নিজ বোনের সাথে রাজকুমারের বিয়ে দেন এবং সাড়ে ৬ শত বিঘা জমিসহ রতনপুর কাচারি উপহার দেন।
রাজকুমার জমিদার হওয়ার পর সুদৃশ্য দ্বিতল অট্টালিকা তৈরি করেন। জমিদার রাজকুমারের বড় ছেলে রতন কুমার পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেলে পুত্রশোকে কিছুদিন পর রাজকুমার মৃত্যুবরণ করেন। এরপর একমাত্র উত্তরাধিকার ছোট সন্তান রুক্ষুনী কুমার জমিদারের সব সম্পত্তির মালিক হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে রুক্ষুনী কুমার কলকাতায় তার বংশধরদের কাছে চলে যান। স্বাধীনতার পর রুক্ষুনী কুমারের সম্পত্তি খাস খতিয়ানে অর্ন্তভুক্ত হয়। বর্তমানে এখানে গড়ে উঠেছে একটি ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, একটি দাখিল মাদ্রাসা ও মসজিদ এবং একটি এতিমখানা। স্মৃতি হিসেবে শুধু জমিদার বাডিটি কালের সাক্ষী।