রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১০ কিমি. দক্ষিণে প্রাচীন নৌবন্দর বকশিগঞ্জের অবস্থান। ব্রিটিশ শাসনামলে করতোয়া ও সোনারবন নদী মোহনায় ছিল বকশিগঞ্জ বন্দর। কালের আবর্তে নৌবন্দরটি হারিয়ে গেলেও এখনো পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয় করতোয়া-ঘৃলাই নদীর ক্ষীণধারা। একসময় নদীতে প্রচুর পরিমাণ দেশি প্রজাতির সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত। অতীতে এখানে সপ্তাহে দুদিন জমজমাট হাট বসত এবং প্রতিবছর পৌষ-মাঘ মাসে মেলার আয়োজন করা হতো।
এখনো মাঝেমধ্যে প্রাচীন আমলের চ্যাপ্টা ইট মাটির নিচে পাওয়া যায়, যা থেকে এ অঞ্চলের অতীত সমৃদ্ধি সম্পর্কে ধারণা করা যায়। বকশিগঞ্জের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ যে-কোনো মানুষের মন কাড়ে। এখানে রয়েছে ২০-২৫ প্রজাতির গাছের বড় একটি বাগান, মাছ চাষের কয়েকটি বড় পুকুর এবং একটি ঈদগাহ। তাছাড়া অষ্টাদশ শতকে এখানে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন একটি মাদ্রাসা ৬০-এর দশকের শুরুতে জামিয়া এস্টেটের জমিদার অহিদুল হক চৌধুরীর উদ্যোগে হাইস্কুলে রূপান্তর করা হয়।
এরপর ১৯৯৫ সালে অহিদুল হক চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র হাসিনুজ্জামান চৌধুরী সেখানে একটি অবৈতনিক ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এখানে স্বল্প পরিসরে নিয়মিত বাজার বসে এবং অনেকেই এখানকার বাগান বাড়িতে পিকনিক করতে আসেন।