পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
প্রকৃতির নিজ হাতে সাজানো গোছানো অপরুপ সৌন্দর্যের মনোমুগ্ধকর এক জেলা- মৌলভীবাজার। উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলা আর সবুজ চা বাগানের বিশাল বিস্তৃতি। সেই সঙ্গে রয়েছে- মাধবকুন্ড ও হামহাম জলপ্রপাত, প্রাণ প্রকৃতি আর জীববৈচিত্রের আধার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। টানা এক মাস সিয়াম সাধনার পর কর্মজীবনের ক্লান্তি ভুলতে প্রতি ঈদে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটে এসব পর্যটনস্পট। বেড়ে যায় পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ব্যস্ততা। নানাভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা চলে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এরইমধ্যে অনেকেই বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কেউবা আবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে গড়ে তোলা কটেজগুলোর প্রায় শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। আর বড় পরিসরের হোটেল-মোটেলগুলোতে প্রায় ৫০ শতাংশ বুকিংয়ের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ঈদকে লক্ষ্য রেখেই অনেকে বিশেষছাড়ের ব্যবস্থা নেয়াতে বুকিং বেড়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবারের এ ঈদে ভালো ব্যবসার আশাবাদী একাধিক ব্যবসায়ী।
শ্রীমঙ্গল রাধানগর এলাকার নির্জন নেচার হাইড আউট রিসোর্ট এর তরুণ ম্যানেজার দুর্জয় দেব বমা জানালেন, এ ঈদে অনলাইনে ব্যাপক পর্যটকের সাড়া পাচ্ছেন। এরইমধ্যে ৬০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।
পর্যটন সেবা সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, মৌলভীবাজারে দেড় শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্ট রয়েছে।