পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
আজ বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বাংলার ভোজ’ শীর্ষক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য উৎসব-২০২৫।
আজ দুপুর আড়াইটায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
মেলাটি চলবে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় সহযোগিতা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, এসএমই ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন। মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে প্রায় শতাধিক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশ শেফ সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এবং শনিবার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল।
মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে প্রায় শতাধিক উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করবেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের ইলিশ, নাটোরের কাচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী, সুন্দরবনের মধু, কুমিল্লার রসমালাইসহ নানাবিধ দেশি খাবার প্রদর্শনী, বিপণন ও উপভোগের ব্যবস্থা থাকবে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সংস্কৃতি উৎসব বাংলার ভোজ আয়োজনে থাকবে নানান খাবার, পিঠাপুলি মিষ্টান্নসহ খাবার প্রস্তুতি, খাদ্যশিল্পী ও দক্ষ প্রফেশনালদের মিলনমেলা। এই আয়োজনের মাধ্যমে রন্ধনশিল্পী ও দক্ষ প্রফেশনালদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন- খুলনার চুইঝাল, চট্টগ্রামের কালাভুনা, সিলেটের সাতকরা ইত্যাদি মানুষের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে নিয়মিত পরিচিতিমূলক ফেস্ট, পাঁচতারকা হোটেলগুলোতে আয়োজন করা হবে; যার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের একটি টেকসই খাদ্য প্রস্তুত ও বিপণনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখবে।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষিজাত প্রস্তুতকৃত পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে দেশ ও বহির্বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। এছাড়া তরুণদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিসহ তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও প্রচারণায় উদ্যোগী ভূমিকা রাখবে। একই সাথে খাবার প্রস্তুত প্রণালী, খাবার সংগ্রহ, সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় শিক্ষণীয় হিসেবে বাংলার ভোজ আয়োজনটি একটি লাইভ কিচেন, লাইভ সার্ভিস প্লাটফর্মে পরিণত হবে। যেখানে পর্যটন শিল্পে দক্ষ অভিজ্ঞ প্রফেশনালরা নতুনদেরকে উৎসাহিত করবেন ও সাধারণের মাঝে জনসচেতা বৃদ্ধি করে এই আয়োজনকে অনন্য উৎসবে পরিণত করবেন।